কক্সবাজার যাওয়ার সবথেকে ৩ টি সহজ উপায়

সাজেক যেতে কতো টাকা লাগে কীভাবে যেতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনকক্সবাজার যেতে চায় না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে কারণ কক্সবাজার নিঃসন্দেহে একটি অপূর্ব সুন্দর জায়গা আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন এমনকি আমিও প্রথম প্রথম জানতাম না যে কিভাবে কক্সবাজার যেতে হয় বা কিসে করে যেতে হয়। যেমন ধরুন বাসে যেতে পারেন ট্রেনে যেতে পারেন এমনকি বর্তমানে বিমানে করে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তো আমি আপনাদের আজকে জানাবো আপনারা কি কি মাধ্যমে এবং কিভাবে কক্সবাজার যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে কি কি করলে আপনারা অনেক মজা পাবেন।


গরিব থেকে মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত থেকে বড়লোক সবারই ইচ্ছা থাকে কক্সবাজার ভ্রমণ করার কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সবাই তা পারে না তো আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে কক্সবাজার গেলে আপনাদের জন্য বেশি সুবিধা হবে তাহলে চলুন আজাইরা প্যাচাল না পেরে শুরু করা যাক ;

কক্সবাজার জেলা কি জন্য বিখ্যাত ও কক্সবাজার সম্পর্কে ধারণা

কক্সবাজার কিভাবে যাবেন তা জানার জন্য প্রথমে আগে জেনে নেয়া জরুরী যে জায়গাটা কেমন এবং সেখানে গেলে কিভাবে আপনারা অনেক আনন্দ করতে পারবেন। সহজ কথা যদি বলি আমি আপনাদেরকে কক্সবাজার এই জায়গাটা সম্পর্কে হালকা একটু ধারণা দিতে চাই। কারণে জায়গাটা সম্পর্কে জানতে পারলে আপনাদের সেখানে যাওয়া চাহিদা আরো বেশি বেড়ে যাবে।

নিঃসন্দেহে কক্সবাজার অনেক সুন্দর একটি জায়গা। প্রতিবছর কক্সবাজারে হাজার হাজার মানুষ ঘোরাঘুরি করতে যায়। কেউ যায় হানিমুনে কেউ যায় বন্ধুদের সাথে আবার কেউ যায় পরিবারের সাথে। কারণ কক্সবাজার জায়গাটাই এরকম বেশিরভাগ সময় কক্সবাজারে ঘুরতে যায় বিবাহিত দম্পতি যারা রয়েছে তারা হানিমুন করার জন্য। নিঃসন্দেহে কক্সবাজার অনেক সুন্দর একটি জায়গা। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় পছন্দের জায়গা।

পৃথিবীর দীর্ঘতম এই অপূর্ব সমুদ্র আসে সৈকতের অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য অনেক জায়গা থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসে। সারা বছর প্রায় হাজার হাজার মানুষ এখানে ঘুরতে আসে তাই আপনাদের কাছে আমার একটা কথা থাকবে সেটা হচ্ছে ছুটির সময় অর্থাৎ যখন আপনারা অবসর সময় কাটান তখন একবার হলেও কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবেন।

আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে দিন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫২ কিলোমিটার এবং যদি আপনারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চান তাহলে দূরত্ব পড়বে ৪১৪ কিলোমিটার এর মতো পৃথিবীর সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত ছাড়াও সেখানে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা উপস্থাপনা যা দেখলে আপনাদের চোখ দাঁড়িয়ে যাবে।

অর্থাৎ অনেক সুন্দর জায়গা এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন উপজাতি ওনিতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বসবাস এবং তাদের জীবনধারা রয়েছে দেখার মতো। অর্থাৎ তাদের জীবনধারা দেখলে আপনার অনেক কিছু জানতে পারবেন শিখতে পারবেন। এই সব জনগোষ্ঠীর বসবাসের সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় জায়গা গুলো হলো লাবনী বীচ, সুগন্ধা বীচ, কলাতলি বীচ, হিমছড়ি, ইনানী বীচ, মেরিন রোড, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ এগুলোই।

কীভাবে কম খরচে ট্রেনে কক্সবাজার ভ্রমন করবেন ? 

যুগের উন্নতির সাথে সাথে বদলেছে যাত্রা বা ভ্রমণ করার ধরন অর্থাৎ আপনি এখন চাইলে বাসে করে ট্রেনে করে এমনকি বিমানে করেও কক্সবাজার যেতে পারেন প্রথমে আমি আপনাদেরকে মাধ্যমগুলোর কথা বলব সেটা হচ্ছে বাস এবং ট্রেনে করে আপনারা কিভাবে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেরই আগ্রহ থাকে।

বিশেষ করে যারা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যেতে চান তারা চান যে ট্রেনে করে সবাই হৈ-হুল্লোড় করতে করতে কক্সবাজার যাবেন। তো তাদের জন্য আমি কিছু ইনফরমেশন দিতে চাই অর্থাৎ তথ্য দিতে চাই তো আপনারা যদি চান ট্রেনে করে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে তাহলে একটু কষ্ট করে নিচের দিকে দেখুন আমি যতটুকু সম্ভব আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব ;

  • আপনার যদি ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাদের যে কাজটি করতে হবে সেটা হল ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। আর অবশ্যই রাত দশটার আগে পৌঁছাবেন কারণ ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ট্রেন ছাড়া হয় রাত সাড়ে দশটায়। আর আপনাদের পৌঁছাতে প্রায় সারারাতই সময় লাগবে মানে সাতটা থেকে আটটা এরকম বাজবে পৌঁছাতে।
  • এখন প্রশ্ন হচ্ছে অনেকেরই মাথায় প্রশ্ন থাকে যে আমরা তো ভালো সিট নিব অর্থাৎ এসি সিট যদি পাওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো হয় তো তাদের জন্য বলছি অবশ্যই ট্রেনের মধ্যে এসির সিট এর ব্যবস্থা রয়েছে তবে তার জন্য ভাড়া একটু বেশি লাগে।
  • এখন প্রশ্ন হলো এসি সিট কতগুলো থাকে আপনার ট্রেনের মধ্যে এসএসসির পাবেন ৩৩০ টি এবং এসি থাকবেনা এরকম সিট থাকবে ৪৫০ টার মতো অর্থাৎ এসিসির অনেকগুলোই থাকবে বোঝা যাচ্ছে।
  • এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসবে যে কোন সিটের ভাড়া কেমন হবে। তো আপনাদের সুবিধার জন্য বলে দি আপনারা যদি ট্রেনে করে এসি সিটে বসে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে চান। তাহলে ভাড়া লাগবে ১৩২৫ টাকা সিট প্রতি। আর যদি এসি ছাড়া সিটে যেতে চান তাহলে ভাড়া অনেক কম পড়বে অর্থাৎ ৬৯৫ টাকার মতো পড়বে।
  • আর যদি আপনারা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে এসি সিটে যেতে চান তাহলে ভাড়া পড়বে ৪৭০ টাকার মতো। আর নন এসি সিটের ভাড়া পড়বে ২৫০ টাকার মতো। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে রাতের বেলা যদি যাত্রা শুরু করেন তাহলে সকালের মধ্যে পৌঁছে দেবেন আর নেমেই ধুম ধারাক্কা ঘোরাফেরা শুরু করে দিবেন।
আশা করি আপনারা বুঝে গেছেন যে আপনারা যদি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে চান তাহলে আপনাদের কত খরচ পড়তে পারে এছাড়া আমি আপনাদের এটাও বলে দিয়েছি যে আপনারা এসি সিটে গেলে কত খরচ পড়বে আর নন এসি সিটে গেলে কত খরচ পরবে।

কীভাবে কম খরচে বাসে কক্সবাজার ভ্রমন করবেন ?

যাইহোক এতক্ষণ আপনাদের জানালাম ট্রেনে করে যদি আপনারা কক্সবাজার যেতে চান তাহলে আপনারা কিভাবে যাবেন এবার আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব যদি আপনারা বাসে করে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনারা কিভাবে যাবেন এবং কিভাবে গেলে আপনাদের সুবিধা হবে। যদিও আধুনিকতার সাথে সাথে যাতায়াত ব্যবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে অর্থাৎ বড়লোক যারা আছে তারা বাসে বা ট্রেনে না গিয়ে এখন বিমানে যাচ্ছে।

ব্যাপারটা খুবই উত্তেজনা পূর্ণ ব্যাপার তাই না। আমাদের কাছে অত টাকা নেই আমরা এখন আপাতত বাসে করে কিভাবে যাওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের কথা বলিনাই আসলে আমার কাছে অত টাকা নেই যে আমি বিমানে করে কক্সবাজার যাবা যাই হোক চলুন মেইন পয়েন্টে আসা যাক 

সাধারণত কক্সবাজার যেতে হলে দুইটা শহর থেকে যাওয়া খুবই সহজ হয় একটা হলো ঢাকা একটা হলো চট্টগ্রাম। বেশিরভাগ জনগণই ঢাকা থেকে কক্সবাজার গিয়ে থাকে। আর যারা চট্টগ্রামের বাসিন্দা তাদের জন্য কক্সবাজার যাওয়ার ব্যাপারটা খুবই সহজ। যেহেতু ঢাকায় অনেক জনবহুল একটি শহর সেহেতু আমি প্রথমে ঢাকা থেকে কিভাবে কক্সবাজার যাওয়া যায় সেটাই আলোচনা করি ;

ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য অনেকগুলো বাস রয়েছে যেমন বাংলাদেশে এখন স্লিপার বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে আপনারা চাইলে এই ধরনের বাসে করে যাত্রা করতে পারেন।

ঢাকা টু কক্সবাজার বাসের ভাড়া কতো ?

  • সহজভাবে যদি বলি তাহলে ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২২০০ টাকা পর্যন্ত ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বাসের টিকিট পাওয়া যায়।
  • আর যদি আপনারা বেশি আরাম করে যেতে চান তাহলে আপনাদের জন্য স্লিপার কোচ বাসগুলো এখন রয়েছে।
  • আর কমন কথা আরাম করে যেতে হলে টাকা বেশি খরচ করতে হবে এই যুগে টাকা ছাড়া কিছুই হয় না স্লিপার কোচ বাস গুলোতে যেতে হলেও টাকা একটু বেশি খোসাতে হবে।
  • আর যদি আপনারা আমার মত কম খরচে যেতে চান তাহলে আপনাদের জন্য আমি সাজেস্ট করবো এসি ছাড়া যে সিটগুলো রয়েছে সেগুলোতে করে ভ্রমণ করতে তাহলে খরচ সেই তুলনায় অনেকটা কম। আসবে। বর্তমানে নন এসি বাসের টিকিট ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

ঢাকা টু কক্সবাজার বাস ভাড়া নন এসি

যাইহোক এসি বাসের ভাড়া কত যেহেতু বলেই দিলাম এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসবে যে এসি ছাড়া যদি ভ্রমণ করি তাহলে খরচ কত আসবে। হ্যাঁ সেটাই বলছি বর্তমানে বাজারে সব জিনিসের দামের সাথে সাথে তেলের দাম বেড়েছে। আর তার সাথে সাথে ভাড়া বেড়েছে। আগে একটু কম পাওয়া গেল বর্তমানে এখন কোন জিনিস কম দামে পাওয়া যায় না।

সে ক্ষেত্রে বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসি ছাড়া যে বাসগুলো রয়েছে সেগুলোর ভাড়া এক হাজার টাকার মত হয়ে থাকে তবে অনেক বাসের সেবার ধরন ভালো হয়ে থাকে ফ্যাসিলিটি ভালো হয়ে থাকে সেগুলোর উপর অনেকটা ভাড়া নির্ভর করে যেমন ধরেন ২০০ ৩০০ টাকা বাড়তেও পারে অর্থাৎ ১৪০০ টাকার মত লাগতে পারে। আপনি যদি একটু ভালো মানের সিটে বসে যেতে চান তাহলেনন এসি বাসের মধ্যে যেগুলো ১৪০০টাকার সিট সেগুলো নিতে পারেন।

ঢাকা টু কক্সবাজার স্লিপার বাস ভাড়া কতো ?

  • বর্তমান সময়ে এসে শুধু বিমানে বা ট্রেনে ভ্রমণ যে শুধু আরামদায়ক তা নয়। এখন বর্তমানে বাংলাদেশে স্লিপার বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে। যেখানে আপনি বাসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন। ইতোমধ্যেই ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি স্লিপার বাস সার্ভিস চালু রয়েছে।
  • এ সকল বাসগুলো সাধারণত রাতের বেলায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। এগুলো বেশি আরামদায়ক হওয়ার কারণে এ সকল স্লিপার বাস ভাড়া টিকেটের দাম একটু বেশি। বর্তমানে ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত স্লিপার বাস টিকেট পাওয়া যায়। কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য বাসে ভ্রমণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
  • এই পোষ্টের মাধ্যমে ঢাকা হতে কক্সবাজার যে সকল বাস চলাচল করে ও ঢাকা টু কক্সবাজার বাস ভাড়া কতো টাকা তা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। আশা করি আপনারা বাস ভাড়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন।

কিভাবে বিমানে কক্সবাজার ভ্রমন করবেন ?

বাপরে বাপ বিমানে করে কক্সবাজার যাওয়া ভাবা যায় যুগ এতটাই এগিয়ে গেছে যে এখন যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি আকাশ ছুঁয়েছে আর তাই কক্সবাজার যেতে হলে এখন আর বাসে বা ট্রেনে করে যেতে হয় না আপনারা চাইলে ঢাকা থেকে ডাইরেক্ট কক্সবাজার উড়ে উড়ে যেতে পারেন আই মিন টু সে বিমানে করে যেতে পারেন। তো যাইহোক আজাইরা প্যাচ আপনাদেরকে ডাইরেক্ট বলে দি যে আপনার বিমানে যদি যেতে চান তাহলে কিভাবে যাবেন ;

বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে হলে ঢাকা টু কক্সবাজার চারটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট রয়েছে যেগুলোতে চাইলে আপনি যেতে পারেন এয়ার লাইন্স গুলোর নাম আমি আপনাদের বলে দিই সেগুলো হলো ;
  • নভোএয়ার
  • বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স
  • রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এয়ারলাইন্স
  • ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স
এই চারটা এয়ারলাইন্স এর মধ্যে নভোএয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সপ্তাহের প্রতিটা দিনই সার্ভিস দিয়ে থাকে। অর্থাৎ সপ্তাহে প্রত্যেকটা দিনে আপনারা চাইলে ঢাকা টু কক্সবাজার আর কক্সবাজার টু ঢাকা যাওয়া আসা করতে পারবেন। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ যে এয়ারলাইন্সটি রয়েছে সেটা সপ্তাহের শুধুমাত্র ৬ দিনই চলে। এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসবে যে কোন দিন চলেনা এই এয়ারলাইনটি শনিবারের দিন অফ থাকে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

এখন আপনাদের মনে অনেকেই প্রশ্ন আসবে যে বিমানে যদি ঢাকা টু কক্সবাজার যেতে চাই তাহলে ভাড়া কত পড়বে আর কোন সেক্টরে কত ভাড়া পড়বে বিমানের অবশ্যই ক্লাস রয়েছে কোন ক্লাসে গেলে ভাড়া কেমন পড়বে সেটা আপনাদের সুবিধার্থে আমি একটু নিচে আলোচনা করলাম কষ্ট করে একটু নিচের দিকে দেখুন জানতে পারবেন

ঢাকা টু কক্সবাজার বিমান ভাড়া কতো ?

  • প্রথমে যদি আপনি Economy Special এই ক্লাসে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৬৫০০ টাকা
  • তৃতীয় তো আপনি যদি Super Saver এই ক্লাসে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪২০০ টাকা
  • তৃতীয়ত তো আপনারা যদি Economy Saverএই ক্লাসে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৫৫০০ টাকা
  • এবার চার নাম্বার যে ক্লাসের কথা বলব সেটা হচ্ছে Economy Flexible এখানে আপনার খরচ করবে ৬৯০০ টাকা
  • এবার যে ক্লাসের কথা বলব সেটার নাম হচ্ছে Business Flexibleআপনার খরচ করবে ৯০০০ টাকা
অর্থাৎ বোঝা গেল বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করলে খরচটা একটু বেশি করবে অর্থাৎ সর্বোচ্চ খরচ করবে ৯ হাজার টাকা।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। কোন সেক্টরের ভাড়া কেমন এটা বললাম কারণ এতে করে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে যে আপনারা কোন ক্লাসে যেতে চান। বিমানের টিকিটের এত ডিটেইলস দেখে আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে কিভাবে এবং কোথা থেকে বিমানের টিকিট বুক করলে ভালো হবে ?

এটা নিয়ে তেমন চিন্তার কোন বিষয় নেই ইউটিউবে সার্চ করলে দেখতে পাবেন সহজে কিভাবে ঢাকা টু কক্সবাজার এয়ার লাইনে টিকিট বুক করা যায় এছাড়া যদি আপনাদের সমস্যা থেকে থাকে আমাকে কমেন্টে জানাবেন আপনাদের জন্য আমি নতুন করে আলাদা একটি পোস্ট লিখব এ বিষয় নিয়ে। কারণ আমার কাজই হলো আপনাদেরকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করা।

কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে কোথায় থাকলে ভালো হয় বা কোথায় থাকবেন ?

যেহেতু কক্সবাজারের একটি বিখ্যাত ভ্রমণের জায়গা সেহেতু সেখানে থাকার জায়গার কোনো অভাব নেই অর্থাৎ হোটেলে ভরপুর আমার জানামতে এখন কক্সবাজারে যে হোটেলগুলো রয়েছে সব মিলিয়ে সেখানে ১৫০০০ জন মানুষ থাকতে পারবে অর্থাৎ খুব একটা কম নয় তবে যারা বেশি সতর্ক তারা বেশিরভাগ সময় রুম আগে থেকে বুক করে রেখে দেয় বিশেষ করে যারা হানিমুন কাপল রয়েছে তারা।

আর আমরা বাঙালিরা চাই সবসময় কম দামের মধ্যে ম্যানেজ করতে তো আমি আপনাদের এখন এমন কিছু হোটেলের নাম বলব যেখানে আপনারা চাইলে একটা মিনিমাম এমাউন্টের মধ্যে থেকে আবার চলে আসতে পারবেন তাহলে চলুন আর দেরি না করে বলে ফেলা যাক ;

  • এখন আমি যে রিসোর্ট গুলোর নাম বলবো সেগুলো হলো মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ,হেরিটেজ। আপনি যদি এই রিসোর্ট গুলোতে থাকতে চান তাহলে আপনার ৬০০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে একটু বেশি মনে হচ্ছে তাই না জানি আমার কাছে বেশি মনে হয়েছিল চলুন আপনাদের আরো কিছু কম দামি রেস্টুরেন্টের নাম বলি।
  • এরপর আমি যে রিসোর্ট গুলোর নাম বলব সেগুলো হলো হোটেল সী ক্রাউন, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, ইউনি রিসোর্ট।এই রেজাল্ট গুলোর মধ্যে কোন একটিতে যদি আপনারা উঠেন তাহলে আপনাদের খরচ পরবে পড়বে তিন থেকে ছয় হাজার টাকার মতো । এখন একটু শান্তি আসলো তাই না আমি নিজেই কম খরচে চলাফেরা করতে বেশি পছন্দ করি যদিও আপনারা আমার থেকে অনেক বড়লোক। এবার আমি আরো কম দামি কিছু রিসোর্ট এর নাম বলবো। জানতে চাইলে নিচের দিকে দেখুন।
  • এখন আমি যে রিসোর্ট গুলোর নাম বলব সেগুলোতে থাকতে চাইলে আপনাদের প্রায় ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে রিসোর্ট গুলোর নাম হলো উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, কল্লোল, সেন্টমার্টিন রিসোর্ট, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট এগুলোতে থাকলে তেমন একটা খরচ পড়বে না আর আপনারা শান্তি মতো বাইরে কেনাকাটা করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার জন্য একটা কথা বলে দিই সেটা হল বীজ ও মেইন রোড থেকে হোটেল যত দূরে হবে আপনাদের থাকার জন্য খরচ ততই কম হবে আর যত বিচার কাছাকাছি হোটেল হবে তত খরচ আরো বেশি হবে মানে ভিউ যত ভালো চাইবেন টাকা তত বেশি খরচ করতে হবে।

এটাই হচ্ছে কথা আর আপনাদের সাবধানতার জন্য আরেকটা কথাই বলেছি কখনো রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ওলা থেকে পরামর্শ নিবেন না যে কোন হোটেলে উঠলে ভালো হয় এটা তেমন আপনার একটা সুবিধা হবে না বরং পরে গিয়ে আরো অস্বস্তিতে পড়তে পারেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য

নানান কারণে অনেকের কক্সবাজার ট্যুর একদম ভালো হয়না সুন্দর একটি গাইডলাইনের কারণে। এই আর্টিকেল আপনার  ভ্রমণকে সুন্দর ও প্রাণবন্ত করার জন্যই লিখলাম। তো আশা করছি সবাইকে সঠিক তথ্য গুলো জানাতে পেরেছি। আজকের বকবক তাহলে এখানেই শেষ করছি। আর হ্যাঁ সুযোগ পেলে অবশ্যই কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবেন।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। আর হ্যাঁ সুযোগ পেলে অবশ্যই কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url