সাজেক ভ্যালি কোথায় ও সাজেক যাইতে কত টাকা লাগে এবং কীভাবে যাবেন তার উপায়
সাজেক ভ্যালিতে কি কি আছে ?
সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত ?
আরে বাবা আমি আছি তো নাকি সব বলছি আস্তে আস্তে। আমি আপনাদেরকে একটু কিছু উপজেলার কথা বললাম সেটা সাজেক ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত ইউনিয়ন কি সেটা আপনারা প্রায় সবাই জানেন ইউনিয়নের একটি সুন্দর জনপ্রিয় ভ্রমণের জায়গা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে সাজেক ইউনিয়ন চিনব কি করে ?
আমি আপনাদের জন্য ব্যাপারটা আরো সহজ করে দিচ্ছি ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত মিজোরাম যে সীমান্ত রয়েছে সেখানেই সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। কিন্তু আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো আমরা যদিও জানি সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত কিন্তু সাজেক ভাইয়েরে যেতে হলে আমাদেরকে যেতে হবে খাগড়াছড়ি হয়ে বিষয়টা কেমন একটু পেঁচিয়ে গেল তাই না। প্যাচানোর কিছু নেই ব্যাপারটা খুবই সহজ রাঙ্গামাটি যাবেন কিন্তু খাগড়াছড়ি দিয়ে যাবেন।
এবার কথা হলো খাগড়াছড়ি দিয়ে কিভাবে যাবেন ? এটাও আমি বলে দিচ্ছি প্রথমে খাগড়াছড়ি শহরে যে দীঘিনার রয়েছে সেখানে যাবেন। এরপরে বাঘাইহাট পার হলেই আপনারা সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছে যাবেন। আপনাদের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য বলে দিই শুধু সাজেক ভ্যালি সুন্দর তাই না সাবজেক্টগুলি যাওয়ার পথে আপনারা দেখতে পাবেন আশপাশের আশেপাশের অনেক সুন্দর মনোরম দৃশ্য এছাড়াও রয়েছেন রাস্তার দুই পাশে লাল-সবুজ রঙের বাড়ি আর তার সাথে রয়েছে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জমে ওটা অপরূপ সুন্দর মেঘের মেলা ।
অর্থাৎ রাঙ্গামাটি পৌঁছানোর পরে নদীপথ দিয়ে কাপ্তাই হয়ে অনেকটা পথ আপনারা সাজেকে হেঁটে যেতে পারেন আবার চাইলে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। ওখানে ভাড়ার গাড়ি পাওয়া যায় তাই ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলে কি হবে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার যাতায়াত এর যত সুবিধা সব খাগড়াছড়ি থেকেই। খাগড়াছড়ি শহর বা দীঘিনালা থেকে স্থানীয় গাড়িতে অর্থাৎ ওই যে বললাম ভাড়ার গাড়ি পাওয়া যায় তেমনি জিপ গাড়ি, সি.এন.জি, অথবা মটরসাইকেল করে সাজেকে যাওয়াই হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ওই ইন্টারেস্টিং উপায় । এভাবে ভ্রমণ করে দেখবেন সেই মজা লাগবে।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায় ও সাজেক যাইতে কত টাকা লাগে?
এছাড়াও আপনাদের সুবিধার জন্য জন্য বলে দিই ঢাকা থেকে যদি খাগড়াছড়ি আসতে চান তাহলে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার যে মেইন বাস সেটা হচ্ছে শান্তি পরিবহন। এছাড়াও আরো অনেক বাস রয়েছে যেমন সৌদিয়া, শ্যামলী, ঈগল, হানিফ, এসব বাসে করেও আসতে পারেন। তবে আর একটা কথা সেটা হলো আপনারা যদি এসি বাসে আসতে চান তাহলে খরচ একটু বেশি করবেন আর যদি নন এসি বাসে আসেন তাহলে খরচ করবেন মোটামুটি ৫২০ টাকার মতো।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে আর একটা কথা বলে দিই সরকারী যেসব ছুটির দিন থাকেন বা বৃহস্পতিবার শুক্রবার এসব দিনে যদি আপনারা যেতে চান তবে আগে থেকেই অবশ্যই টিকিট কেটে রাখবেন না হলে পরে টিকিট সংক্রান্ত ঝামেলা সম্মুখীন হতে পারেন। যেহেতু সাজেক ভ্যালি যাওয়ার প্রথম যাত্রা বাসে শুরু হবে প্রথম থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো যাতে করে আপনাদের আনন্দে কোন রকম বিঘ্ন না ঘটে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন সাজেক ভ্যালি্র ভ্রমণ খরচ বাস থেকে শুরু হবে।
ঢাকা থেকে সাজেক ভাড়া কতো ?
ঢাকা থেকে সাজেক কিভাবে যাবেন ?
- ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাদেরকে শান্তি পরিবহন নামক যে বাস রয়েছে সেখানে ওঠে ঢাকা থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ির রাঙ্গামাটির দীঘিনালা যেতে হবে।
- আর আপনাদেরকে আগেই বলে দেয়া হয়েছে শান্তি পরিবহনই একমাত্র পরিবহন যারা দীঘিনালা পর্যন্ত যায়। ভাড়া লাগবে ৫৫০-৫৮০ টাকার মতো।
- এবার আপনারা যে কাজটি করবেন সেটা হচ্ছে দেখে নানা নাম্বার পড়ে সেখানে সাজেক যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ভাড়া গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সেখান থেকে যে কোন একটা গাড়ি বেছে নিয়ে অর্থাৎ ভাড়া করে নিয়ে যেটাকে সাধারণত চান্দের গাড়ি বলা হয়ে থাকে সেই গাড়িতে করে সাজেক যেতে হবে। ভাইরে একটু বেশি চাইবে যেমন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মত একটু দরকার কষাকষি করলে একটু কমতে পারে।
- সাধারণত যখন অফ সিজন চলে তখন যদি দরখাসি করা যায় তাহলে৫/৬ হাজার টাকায় রাজি করানো সম্ভব। সিজনে আরও বেশি ভাড়া চায় ওরা।
- তো যেকোনো একটি গাড়ি ভাড়া করে নেওয়ার পরে সকালল ১১টার দিকে যে আর্মি এস্করেট রয়েছে সেখান থেকে আপনাদের গাড়ি সহ অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়িগুলো সাজেকের উদ্দেশে রওনা হবে।
- আরেকটা আর্মি এস্করট পাবেন বিকাল ৩টার দিকে। আপনারা যদি সাজেকে একদিন থাকেন তাহলে যে গাড়িগুলো আপনাদের সাথে যাবে সেগুলো ওখানে আপনাদের সাথে একদিন থাকবে।
- আর যদি যেদিন গেছেন সেদিনই ফিরে আসতে চান তাহলে ১১টার গাড়িতে সাজেক গিয়ে ৩টার গাড়িতে ফিরতে হবে। আমার মতে সাজেকের মত জায়গায় গিয়ে একদিন না থেকে চলে আসাটা বোকামি হবে অর্থাৎ যদি 11 টায় গিয়ে তিনটায় চলে আসতে হয় তাহলে কি দেখবেন আর কি ঘুরবেন পুরোটাই আফসোস হবে এজন্য অবশ্যই গেলে একদিন থাকবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত আর কি।
- কারণ সাজেকের আসল মজা হলো বিকালের যে সময়টা তখন থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ।
- পরের দিন যখন আপনারা বাড়ির জন্য রওনা হবেন তখন ফেরার সময় সকাল ১১টার গাড়ি আপনাকে নিয়ে গিয়ে দীঘিনালা নামিয়ে দিয়ে আসবে।
- এমনভাবে ড্রাইভারের সাথে চুক্তি করতে হবে যেন ড্রাইভার আপনাকে সাজেক, কংলাক পাড়া, কমলা বাগান এসব জায়গা ভালো করে ঘুরিয়ে দেখায়।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কিভাবে যাবেন ?
- চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যেতে হলে প্রথমে চট্টগ্রামের যে কদমতলী বাসস্ট্যান্ড রয়েছে সেখান থেকে বিআরটিসির এসি বাস ছাড়া হয় খাগড়াছড়ির যাওয়ার জন্য।
- দিনের বেলা এসি বাস থাকে মাত্র ৪টি। আর এ ধরনের বাসে ভাড়া নেওয়া হয় ২০০ টাকার মতো।
- এছাড়া আপনারা হয়তো অক্সিজেন নামক যে মোড় রয়েছে সেটা চিনবেন সেখান থেকে ১ ঘন্টা পরপর শান্তি পরিবহনের বাস গুলো ছাড়া হয়। ভাড়া পড়বে ১৯০ টাকার মতো।
- চট্টগ্রাম থেকে বাসে খাগড়াছড়ি যেতে হলে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।
- একটু আগে চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় নামক যে মোড়টির কথা বললাম সেখানে থেকে শান্তি পরিবহনের বাস এবং লোকাল বাস ছাড়া হয়ে থাকে।
- এক্ষেত্রে এসি ন-এসি দুই ধরনের বাস সেখানে আপনারা পাবেন।
- শান্তি পরিবহনের যে নন-এসি বাসগুলো রয়েছে সেখানে ওরা ভাড়া নিবে ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মতো।
- আর এসি বাসের ভাড়া সাধারণত নিবেন ৩৫০ টাকার মতো।
- খাগড়াছড়ি পৌঁছানোর পরে আপনারা কি করবেন সেটা আপনাদের বলে দিয়েছি তাও আর একবার বলে দিন খাগড়াছড়ি পৌছে যাওয়ার পরে চান্দের গাড়ি কিংবা সিএনজি করে আপনারা সাজেক পৌঁছাতে পারবেন।
সাজেকে কম খরচে থাকার জন্য সুন্দর কিছু জায়গা
যেহেতু সাজেক একটি ভ্রমণের জায়গা সেও তো যেখানে থাকার জায়গা বা হোটেল এবং রিসোর্ট তো থাকবেই কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে এসব রিসোর্টের ভাড়া কেমন করবে থাকতে কেমন খরচ হবে কারণ কোথাও যেতে হলে অবশ্যই বাজেটটা ভালোমতো দেখেশুনে যাইতে হয় আমি যতটুকু জানি আপনাদেরকে বলছি রাজাকে সাধারণত ছোট বড় অনেক হোটেল বা রিসোর্ট রয়েছে প্রায় ১০০ টার মতো এসব জায়গাতে একদম যদি কম বলি তাহলে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকার মতো ভাড়ার ঘর পাওয়া যাবে তবে যদি আপনি শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনগুলোতে যেতে চান তাহলে আমি বলব একমাস আগে থেকে রুম বুক করে নিয়ে ভালো টাকা একটু বেশি খরচ হবে তবে সেটাই ভালো কারণ ভালো রিসোর্ট গুলোতে আগে থেকে রুম বুক হয়ে যায় আপনারা যখন রিসোর্ট বাছাই করবেন অবশ্যই থাকার ব্যবস্থা কেমন খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন এগুলো বেশি দেখবেন আর ভিউ তো বাইরে ঘুরতে গেলে পাবেনি আশা করি আমি যা বলতে চাইছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
রিসোর্টের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।অনেক হোটেল আছে যেগুলো সাজেকের বাইরে আবার অনেকগুলো রয়েছে একদম মেইন পয়েন্টে। আপনারা অবশ্যই চাইবেন না সাজেক থেকে দূরের কোন হোটেলে থাকতে অবশ্যই হোটেল নিলে মেইন পয়েন্টে নিবেন এতে করে আপনার ঘোরাঘুরি করতে অনেক সুবিধা হবে আর না হলে সময় অনেক নষ্ট হবে আর রিসার্চের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দেখবেন যে বাথরুম কেমন থাকার জায়গা কেমন এগুলো ভিউ কমবেশি বাইরে গেলেই দেখতে পাবেন কিন্তু ভেতরের অবস্থা খারাপ হলে থেকে শান্তি পাবেন না আর মন খারাপ হয়ে যাবে
কম খরচের রিসোর্টগুলো আপনার সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ কমাতে সাহায্য করবে। যারা একটু কম খরচে সাজেক ভ্যালি ঘোরাঘুরি করতে চান তাদের জন্য কিছু কম খরচের হোটেলগুলো আমি নিচের দিকে দিয়ে দিলাম ;
- আলো রিসোর্ট ;- কম খরচে থাকার জন্য এটি একটি ভালো রিসোর্ট। ভিউ তেমন পাবেন না । এই হোটেলে রুম আছে ৬ টা। রুম ভাড়া লাগবে রাত প্রতি ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মতো।
- লুসাই কটেজ ;- কাপল ডাবল সব ধরনের ঘর আছে এখানে। মোটামটি ভালো একটি রিসোর্ট। রুম ভাড়া লাগবে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মতো।
- মেঘের ঘর রিসোর্ট ;- কম খরচে থাকতে হলে এটি সাজেকের আরও একটা ভালো রিসোর্ট। এখানে ৮টা রুম আছে। এখানে রুম ভাড়া পড়বে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকার মত ।
- হাফং তং ; এটিও বাজেটের মধ্যে একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্টে ৬টা ঘর আছে । রুম ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মতো।
- আদিবাসী ঘর ; আপনারা চাইলে কম খরচে আদিবাসীদের ঘরে থাকতে পারেন। জনপ্রতি লাগবে ১৫০ – ৩০০ টাকার মতো। বন্ধু বান্ধব মিলে থাকার জন্য এটা ভালো জায়গা।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ ও সাজেকে খাওয়ার ব্যবস্থা
আমার জানামতে এক জীবের সাধারণত ১০ থেকে ১১ জন মানুষ বসা যায় আর আপনারা ঘুরতে গেলে অবশ্যই খাওয়া-দাওয়া করবেন এক্ষেত্রে আপনাদের খাওয়ার জন্য প্রতিবেলাতে খরচ হতে পারে সে থেকে ২০০ টাকার মতো এছাড়াও বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে যাবেন সেখানে এন্ট্রি ফি লাগবে ঢোকার জন্য টাকা নিবে তারা সেখানে দেড়শ টাকার মতো খরচ হবে। আর কটেজ ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ৫০০ টাকার মতো। আর একটা কথা জানেন কি বর্ষাকালে সাজেক ঘুরতে গেলে খরচ কম হয়। তখন মেঘও বেশি দেখা যায়। তো আপনারা চাইলে বর্ষাকালে ঘুরতে যেতে পারেন।
যেহেতু সাজেক একটি ভ্রমণের জায়গা তোর ঘোরার জায়গা সেখানে অনেক হোটেল থাকা স্বাভাবিক অর্থাৎ খাওয়ার জায়গা তো সাজেকে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং তাদের নিজস্ব নিজস্ব খাবার ব্যবস্থা রয়েছে এক্ষেত্রে যদি আপনারা খাবার দাবার রেস্টুরেন্টে খেতে চান তাহলে আপনার মোটামুটি খরচ করবে ১৫০ থেকে ২৫০ বা ৩০০ টাকার মতো খাবারের মেনুতে পাবেন ভাত মুরগি শাকসবজি আলু ভর্তা মাছ ভর্তা এগুলো আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনার সাজেকে ঘুরতে গিয়ে অনেক ভালো ভালো রেস্টুরেন্টে পেঁপে কলা আনারসহ অনেক সুস্বাদু পাহাড়ি ফল পাবেন খুব সস্তায় সেগুলো খেয়ে পরক করতে একদম ভুলবেন না আর সস্তায় পেলে আমরা বাঙালি কিনা খাই এটা একমাত্র আমরা যারা খাঁটি বাঙালি তারাই বুঝবো আপনাদের সাথে অনেক কথা বললাম। আশা করি আপনারা একটু হলেও জানতে পেরেছেন কিভাবে যেতে হয় এবং সেখানে গেলে আপনারা কি কি ফেসিলিটি পেতে পারেন এগুলোই আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করলাম আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আর যদি বুঝতে অসুবিধা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তো আজকের মত এটুকুই দেখা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোন জায়গা নিয়ে।
আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url