ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চলুন জেনে নি দুধ খেলে কি কি উপকার হয়ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে কারণ ডিম নিঃসন্দেহে অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি খাবার বাকিদের কথা জানি না আমি নিজে ডিম খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি সেটা হলো বেশিরভাগ মানুষের ডিমের সাদা অংশ অনেক পছন্দ তারা কুসুম খেতে খুব একটা পছন্দ করেনা তবে আমি কুসুম খেতে অনেক পছন্দ করি। যদিও কুসুমে তেমন একটা প্রোটিন থাকে না কিন্তু ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, ও ভিটামিন। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন যে বাচ্চাদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি ওভার মজবুত করার জন্য এছাড়াও মানসিকতা ও মেধার দিক থেকে শক্তিশালী করার জন্য ডিম খুবই কার্যকর একটি খাদ্য উপাদান। এছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা বাচ্চাদের এবং বড়দের সবারই দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।


অনেকেই ডিম খেতে পছন্দ করে না কারণ তারা জানি না ডিমের মধ্যে কতটা পুষ্টি উপাদান লুকিয়ে রয়েছে আর এটা শরীরের জন্য কতোটা উপকারি একটি খাদ্য উপাদান। তবে একটা কথা না বললেই নয় দুনিয়াতে সবকিছুরই ভালো দিক যদি থাকে খারাপ দিক অবশ্যই থাকবে। তেমনি ডিমের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি কিছু খারাপ দিকও রয়েছে আর আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের জানাবো ডিম খেলে সেটা আপনার শরীরের জন্য কি কি উপকারে আসবে জানাবো ডিম খেলে সেটা আপনাদের কি কি অপকারে আসবে। তো বেশি প্যাঁচাল না পেরে চলুন শুরু করি।

ডিম খাওয়ার উপকারিতা

ডিম নিঃসন্দেহে একটি প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। আর তাছাড়া ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী যা আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দেখবেন যারা বেশিরভাগ সময় শরীর চর্চা করে তারা ডিম খেতে অনেক পছন্দ করে কারন এটা আমাদের শরীরের শক্তি বাড়ায়। তবে অনেকেই দেখা যায় ডিম খেতে পছন্দ করে না বা ডিম খেতে ভয় পায় এর কারণ হল তারা ভাবে ডিম খেলে, যদি তাদের ভুঁড়ি বেড়ে যায় বা ওজন বেড়ে যায় কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।

এসব ভেবে তারা ডিম খেতে চায় না। তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে প্রতিদিন সকালের মাস্টার সময় অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় তাই প্রতিদিন একটা করে হলেও ডিম অবশ্যই খাবেন এতে আপনার শরীরের অনেক রোগের সমাধান আপনা আপনি হয়ে যাবে। আরেকটা কথা সবকিছু খাওয়ার আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে তেমনি ডিম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে তেমন কোন নিয়ম না তবে জানা উচিত যে কিভাবে খেতে হবে।

অর্থাৎ অনেকেই আছেন যারা ডিমের কুসুম ফেলে দিয়ে শুধু সাদা অংশটা খেতে পছন্দ করেনা বা অনেকেই ভাবেন কুসুম খাওয়া ভালো না এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ কুসুম খেলে চর্বি বাড়ে কিন্তু এই ব্যাপারে পুষ্টিবিদরা বলেছেন , দিনে একটি না হলেও অন্তত ২টি ডিম কুসুমসহ আপনারা খেতে পারেন। আপনাদের কোন ক্ষতি হবে না। আর যদি দিনের মধ্যে কেউ বেশি ডিম খান তাহলে সে ক্ষেত্রে কুসুম ছাড়া খেতে পারেন।

ডিম খাওয়ার উপকারিতা

বেশিরভাগ মানুষজন যারা শুধুমাত্র ডিম খেয়ে যায় তারা শুধু এটা জানে যে ডিম খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে কিন্তু আজ আপনি আপনাদের একটু বিস্তারিত বলে দিন আসলে ডিমের মধ্যে কত ভাগ প্রোটিন থাকে অর্থাৎ কেমন পুষ্টি উপাদান থাকে আর কি ! ডিম খেলে আমাদের শক্তি বাড়ে এর কারণ হলো ডিমের মধ্যে শক্তির পরিমাণ অর্থাৎ যদি ইংরেজিতে বলি এনার্জির পরিমাণ থাকে ১৪৩ ক্যালোরি যারা আপনাদের মধ্যে জিম করেন তাদের মধ্যে অনেকে বুঝবেন যে ক্যালোরি বার্ন করা কাকে বলে।

আর ডিম খেলে অবশ্যই অনেক ক্যালরি বার্ন হয়। এছাড়াও ডিমের মধ্যে রয়েছে ১২.৫৬ গ্রাম প্রোটিন যা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি কমাতে অনেক সাহায্য করে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আরেকটা কথা সেটা হল আপনাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে সেখানে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে অর্থাৎ ডিমের কুসুম খেলে চর্বি বেড়ে যায়। হ্যাঁ আপনারা ঠিকই ভেবেছেন ডিমের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ অর্থাৎ চর্বির পরিমাণ থাকে, ৯.৫১ গ্রাম তবে দিনের মধ্যে যদি দুটি ডিম কুসুম সহ খাওয়া যায় তবে এখানে ফ্যাটের তেমন একটা প্রভাব পড়ে না।

অর্থাৎ আপনি দুটি ডিম কুসুম সহ খেতে পারেন কোন ক্ষতি হবে না। এবার যে উপাদানটির কথা আমি বলবো সেটা আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা সেটা হচ্ছে, ডিমের মধ্যে ফসফরাস নামক একটি উপাদান থাকে সেটা আমাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ধার মজবুত করতে সাহায্য করে। ডিমের মধ্যে ফসফরাসের পরিমাণ রয়েছে ১৯৮ মিলিগ্রাম এছাড়াও কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনাদের না জানলেও চলবে। উপরের দিকে আমি আপনাদের একটা কথা বলছিলাম সেটা হচ্ছে ডিম বাচ্চাদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি হঠাৎ লম্বা হতে আর কি !

এছাড়াও হাড় শক্ত করতে ও মেধা শক্তি বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ডিমের মধ্যে আরো একটি যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেটা হচ্ছে ভিটামিন এ যা চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে অনেক সহযোগিতা করে আর এছাড়া কুসুমে থাকা ভিটামিন ডি, হাড় মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে তবে টিমের কুসুম পরিমাণ মত খাওয়াই ভালো আর পরিমাণ কেমন হবে সেটা আমি আপনাদের আগে বলে দিয়েছি।

অনেক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে, অপুষ্টি এবং ডায়াবেটিস জাতীয় যে সকল সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করার জন্য হলেও প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবের কথা চিন্তা করে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে তাদের জন্য মুরগির ডিম খাওয়া অনেক ভালো।

ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো ;-

  • দৈহিক শক্তি ভারতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- ডিম খেলে শরীরে শক্তি বেড়ে যায় এটা তো আপনারা জেনে গেছেন আরে ছাড়া ডিম খেলে প্রচুর পরিমাণে শরীরে এনার্জি বার্ন হয়। ডিমের মধ্যে যেজ ভিটামিন রয়েছে তার জন্যই এই অ্যানার্জি বা শক্তি আমাদের শরীরে আসে আর এছাড়াও ডিমে থাকা ভিটামিন বি খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
  • দৃষ্টিশক্তি বা চোখের জ্যোতি বার রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- ডিমের মধ্যে যে ভিটামিন এ সেটা আমাদের চোখের জ্যোতিষ শক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। তাদের বয়সে একটু বেশি তাদের মধ্যে প্রয়োজনকেই দেখা যায় যে চোখে কম দেখে আর তাদের জন্য ডিমের মধ্যে যে কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন উপাদানটি রয়েছে যা চোখের জ্যোতি শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয় সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তাই বয়স্কদের জন্য ডিম খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • ক্যানসারের ঝুঁকি নিরাময়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- ডিমে থাকা মধ্যে যে ভিটামিন ই উপাদানটি রয়েছে সেটা ত্বকের মধ্যে থাকা ফ্রি র‍্যাডিকেল উপাদানটিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আর এতে করে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও ডিমের মধ্যে থাকা এই উপাদানটি আবার করে নতুন কোষ তৈরি হতেও সহযোগিতা করে থাকে। আর একটা কথা আপনারা যদি নিয়মিত ডিম খেতে পারেন একটা করে হলেও তাহলে আপনাদের ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
  • পেশি শক্তি বৃদ্ধিতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- ডিমে মধ্যে যে ভিটামিন ডি উপাদানটি রয়েছে সেটা আমাদের পেশী মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে থাকে অর্থাৎ যেটা বাইসেপস বলা হয়ে থাকে আর কি ! যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করে থাকে পুষ্টিবিদরা তাদের বলেছেন নিয়মিত ডিম খাওয়ার জন্য।
  • হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিরাময়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- যারা নিয়মিত ডিম খায় তাদের হার্টে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় যার কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি বা বিপদে সম্মুখীন তাদের হতে হয় না। আর তাছাড়া ডিম খেলে শরীরের রক্ত চলাচল অনেক ভালোভাবে হয় যার কারণে শরীর-স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- যারা নিয়মিত ডিম খায় তাদের কোলেস্টেরল জাতীয় সমস্যা থাকলে সেটা সহজেই দূর হয়ে যায় অর্থাৎ ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আর যে উপাদানটির কারণে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয় সেই উপাদানটির নাম হলো ওমেগা ৩।
  • লিভারের সমস্যা নিরাময়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ;- এছাড়া ডিম খেলে খুব তাড়াতাড়ি যাদের লিভারের সমস্যা থাকে সেটা নিরাময় হয়ে যায় কারণ এই সমস্যাটি হয় শরীরে কোলাইনের ঘাটতি হলে। আর যেহেতু ডিমে ভালো পরিমাণে কোলাইন থাকে সেহেতু ,ডিম খাওয়ার ফলে আপনার লিভার ও স্নায়ু দুইটাই ভালো থাকবে।
  • রক্তস্বল্পতা নিরাময়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা;- অনেকেরই দেখা যায় শরীরের পর্যন্ত পরিমাণ রক্ত না থাকার কারণে বা রক্ত চলাচল ঠিকমতো না করার কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় আর এই রক্তস্বল্পতা দেখা আয়রনের অভাবে। আর যেহেতু ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে সেহেতু যারা। তাই নিয়মিত ডিম খায় তাদের রক্তাল্পতার যে সমস্যা থাকে সেটা সমাধান হয়ে যায়।
তো এই ছিল আজকের ডিম নিয়ে গবেশনা। দারান দারান কই যাচ্ছেন এখনও গবেশনা শেষ হয় নি এখন আমরা জানবো ডিম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে তাহলে চলুন আর দেরি না করে এটাও জেনে নেওয়া যাক।

ডিম খাওয়ার অপকারিতা

ডিম আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানে খাওয়ার জিনিস আর কি। ডিম ছোট–বড় সবার প্রিয় খাবার। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে আর না জানলেও বা কি আমি তো আছি আপনাদের সাথে প্যাঁচাল পারার জন্য সরি কেউ কিছু মনে করবেন না আমি একটু বেশি মজা করে ফেলি। যাই হোক সহজলভ্য অর্থাৎ কম দাম হওয়ার কারণে প্রতিদিনের খাবারে ডিম থাকেই।
  • চর্বিজনিত ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার অপকারিতা ; পুষ্টিগুণ ও কম দাম হওয়ার কারণে অনেকে বেশি করে ডিম খেয়ে ফেলেন। আবার অনেকে ডায়েটের অংশ হিসেবেও বেশি ডিম খান। কেউ আবার চর্বি বেড়ে যাবে বা রোগের কথা ভেবে ডিম বাদ দিয়ে দেন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই যেমন ভালো নয়, তেমনি একেবারে বাদ দেওয়ার ও কোন মানে হয় না। চলুন আর বেশি দেরি না করে ডিম খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা ডিম খাওয়ার অপকারিতা কি কি সেগুলো দেখে আসি।
  • কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার অপকারিতা ; বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যারা ব্যায়াম করে বা জিম করে তারাই বেশি বেশি ডিম খেয়ে থাকে কারণ তারা জানে ডিম খেলে শরীরে শক্তি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় কিন্তু এছাড়াও ডিমের একটি ছোট্ট খারাপ দিক রয়েছে সেটা হচ্ছে ডিমের প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে আর কোলেস্টেরলের বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।
হার্টের সমস্যা তো কোন ছোট সমস্যা না তাই না আর এজন্য অনেকে ডিমের কুসুম খায় না কারণ কোলেস্টেরলটা থাকে ডিমের কুসুমের মধ্যে সাদা অংশের মধ্যে কোনরকম কোলেস্টেরল থাকে না তবে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন যে দিনে এক দুইটা ডিম খেলে অর্থাৎ কুসুমের সাথে ডিম খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না অর্থাৎ ক্ষতি হয় না তবে বেশি খাওয়া যাবে না বেশি খেলে কি হবে বলে দিয়েছি কিন্তু।
  • হার্টের সমস্যার ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার অপকারিতা ; যাদের বিশেষ করে হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া একদম নিষিদ্ধ এতে করে হার্টের সমস্যা আরো বাড়বে। হার্টের রোগীদের বা যাদের হাই কোলেস্টেরল আছে, এ রকম রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন আর এছাড়াও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা প্রযোজ্য তো অবশ্যই আপনারা তাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে বা কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্য সতর্ক থাকবেন।
  • আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভাবেন যে ,ডিমের সাদা অংশে যেহেতু খুব ভালো অনেক প্রোটিন আছে, তাহলে বেশি করে খাওয়া যাবে। দৈনন্দিনভাবে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া অবশ্যই ভালো, কিন্তু ওই যে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। তেমনি অতিরিক্ত ডিম খেলে শরীরে বায়োটিন নামের এক রকম ভিটামিন রয়েছে যার অভাব দেখা যায় যে আপনার শরীরের ভালো আকারে ক্ষতি করতে পারে তাই কোন কিছুই বেশি হওয়া ভালো না পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন সেটা যত ভালো জিনিসই হোক না কেন।
  • এলার্জিজাতীয় সমস্যায় ডিম খাওয়ার অপকারিতা ; আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে ডিমের কিন্তু অনেকের এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে যাতে এলার্জি আছে তারা ডিম খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন না হলে আপনার অনেক অস্বস্তি সম্মুখীন হতে হবে।
  • গ্যাস জাতীয় সমস্যায় ডিম খাওয়ার অপকারিতা ; এছাড়া যাদের গ্যাস জাতীয় সমস্যা রয়েছে তারাও ডিম পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন অল্প খেলে বেশি ভালো হয় । কারণ গ্যাস জাতীয় সমস্যা যাদের রয়েছে তারা যদি বেশি করে ডিম খায় তাহলে পেটে গ্যাস বা অস্বস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে তাই অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
ডিম অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান। একজন সুস্থ–স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া অনেক উপকারী। তবে যদি অতিরিক্ত কেউ খায় তাহলে কি হতে পারে সেটা আমি আগেই বলে দিয়েছি অর্থাৎ সহজ কথা বেশি খেলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে প্রতিদিন একটির বেশি ডিম প্রয়োজন ছাড়া বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো।

রাতে ঘুমানোর আগে ডিম খাওয়ার উপকারিতা

এতক্ষণ ধরে যেহেতু আমি ডিম নিয়ে কথা বলছি সেহেতু আপনারা বুঝেই গেছেন ডিম নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর খাবার। কারণ এটা আমাদের শরীরের মধ্যে যে স্নায়ুকোষ থাকে সেটার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এবং শরীরকে ঘুমাতে যাওয়ার সংকেত দেয়। এছাড়াও আমাদের শরীরের মধ্যে মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন থাকে যেটা সাধারণত ঘড়ির মতো কাজ করে।

অর্থাৎ আমাদের মানসিকতার মধ্যে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করে আপনারা দেখবেন ঘুমানোর আগে আপনারা যদি ভাবেন যে সকাল সাতটায় উঠবেন তাহলে ঘুম থেকে ঠিক আপনি সাতটার আশেপাশে জায়গা পাবেন আর এটাকে বলা হয় মেলাটোনিন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরও একটা কথা পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রাতে ডিম খেলে তেমন কোনো সমস্যা নেই অর্থাৎ রাতে যদি একটা করে ডিম খাওয়া যায় তাহলে সেটা শরীরের জন্য বেশি উপকারী।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডিম খেলে কি হয় ?এটা খুবই সহজ ব্যাপার আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে ডিম খান তাহলে সেটা আপনাদের শরীরের শক্তি প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দিবে এবং যেকোনো কাজের এনার্জি দিবে। অর্থাৎ বুঝে গেছেন সকালে যদি আপনি একটা করে ডিম খান তাহলে আপনি সারাদিন কাজের শক্তি পাবেন কারণ ডিম অ্যানার্জির খুব ভালো উৎস আর এটা আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়।

আরো একটা কথা আগে বলা হয়েছে ডিম খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের জ্যোতি শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে পারি কারণ এটা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়াতে অনেক সাহায্য করে অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি ভালো করতে ডিম অনেক উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। এছাড়াও যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ডিমের সাদা অংশ খান তাহলে আপনার হার্টের সমস্যা থাকলে সেটা অনেকটাই কমে আসবে।
এছাড়াও ডিমের সাদা অংশ খেলে সেটা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য ;-

অনেক কথাই তো বললাম আসলে দুনিয়াতে সবকিছুরি ভালো ও খারাপ দুইটা দিকই রয়েছে। ভালো আর খারাপ নিয়েই আমাদের দুনিয়া। আজকে আমরা ডিমের কিছু ভালো দিক আর কিছু খারাপ দিক নিয়ে কথা বললাম। আমার মতো আপনাদের মধ্যেও হয়তো অনেকে ডিম খেতে পছন্দ করেন আপনাদের একটা কথাই বলতে চাই জীবনে যেটাই করুন না কেন তার একটা সীমাবদ্ধতা থাকা দরকার অর্থাৎ পরিমান থাকা দরকার তো ডিম অবশ্যই শরীরের জন্য ভালো কিন্তু যদি সেটাই আপনি পরিমানের থেকে বেশি খান আপনার জন্য সেটা ক্ষতিকর হয়ে দারাবে। আশা করি যাই আলোচনা করলাম আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url