জাম খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা

জেনে নিন দুধ কতোটা উপকারি শরীরের জন্যবাকিদের কথা জানি না আমার তো জাম খেতে সেই লাগে ছোটবেলায় আমার বাড়ি থেকে একটু দূরে বড় একটা জাম গাছ ছিলো একটু বাতাস উঠলেই দৌড়ে যেতাম জাম কুড়ানোর জন্য তখন এতো উপকারিতা বা অপকারিতা কিছুই বুঝতাম না বড় হয়ে বুঝলাম ফলটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্যও অনেক ভালো।


আজকে আমরা জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পরকে জানবো যেন জামের ওপর আকর্ষণটা আরও বেড়ে যায়। তো চলুন আজাইরা প্যাঁচাল না পেরে শুরু করি।

জাম ফলের বৈশিষ্ট্য

জাম অত্যন্ত পরিচিত একটি মৌসুমী ফল জাম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে জাম গরমকালীন ফল হলেও এই ফলটি সাধারণত জন জুলাই ও আগস্ট মাসেও পাওয়া যায় এখন আমি আপনাদের সাথে যার ফলের কিছু বৈশিষ্ট্য শেয়ার করব যেগুলো প্রায় আপনারা সবাই জানেন তবুও যেটুকু জানেন না জেনে নিন ;

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; জামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান যা শরীরকে শক্তিশালী ও সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে
  • জাম খাওয়ার উপকারিতাএছাড়াও জামের মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ অর্থাৎ জাম খেলে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল এবং রক্ত ঘন হতে সাহায্য করে।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; জাম অনেকের কাছেই পছন্দের একটি ফল কিন্তু এর রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ এর মানে হল জামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়াও আপনারা জানলে অবাক হবেন যে এই ফলের বীজ পাতা ও ছালের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে অর্থাৎ এই জিনিসগুলো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

জাম খাওয়ার উপকারিতা

জাম একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল যা প্রায় বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ই খেতে পছন্দ করে এমনকি আমি নিজেও এই ফল টি অনেক পছন্দ করি চলুন আজকে আমরা জাম নামক এই ফল টি খেলে কি কি উপকার হয় তা জানবো ।।

আজকে আমরা জাম খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সম্পরকে জানবো । যা নিচে আলোচনা করা হলো ;-
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; আপনারা যদি আমার মত জাম খেতে পছন্দ করেন তাহলে আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে এই ফলটি খাইলে আপনাদের হজম শক্তি অনেক বেড়ে যাবে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের দাঁতের মাঝখান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে এগুলো যথেষ্ট পরিমাণের পুষ্টির অভাবে হয়ে থাকে জাম আমাদের মাড়ি র রক্তক্ষরণ হওয়া থেকে রক্ষা করে কারণ এই ফলটি একটি ঔষধি উপাদানের মত কাজ করে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
  • জাম খাওয়ারউপকারিতা ; এছাড়াও এই ফলটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ওজন ও চর্বি অনেকটাই কমে আসে অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে এগুলো আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীরটাকে সুস্থ ও তরতাজা।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়াও চিকিৎসকরা বলেছেন যারা জন খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য সুখবর হলো এই ফলটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল অর্থাৎ এ ফলটি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাটা ডায়াবেটিস থাকলে যেসব সমস্যা হয় সেগুলো অনেকটাই কমে আসে । অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন অত উপকারী একটি ফল
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়েছে জাম খেলে আমাদের ত্বক এবং স্বাস্থ্য দুইটাই ভালো থাকে। এছাড়া জাম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো হয়।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; আপনারা যারা জাম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর হলো জাম খেলেমাড়ি ও দাঁত মজবুত থাকে কারণ  কালো জাম মাড়ি ও দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়াও আপনাদের জানার সুবিধার্থে আরেকটা কথা বলে দিই যেহেতু যা আমি একটি ঔষধি ফল ফল সেহেতু জাম গাছের পাতাতেও রয়েছে  ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ অর্থাৎ এটি মাড়ির রক্তপাত রোধ করতে সাহায্য করে। একটু আগে এটা সম্পর্কে বলা হয়েছে আশা করি মনে আছে আপনাদের।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; আপনাদের অনেকে মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে জামের পাতা আবার কিভাবে দাঁতের জন্য উপকারী তাহলে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমি একটু ব্যাপারটা খুলে বলি আপনারা যদি গ্রামের পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে দুধ পাউডার যেমন ভাবে ব্যবহার করেন ভেজামের পাতা গুঁড়ো করে যদি দাঁতে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটা আপনাদের মাড়ির রক্তপাত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহযোগিতা করবে। আশা করি বিষয়টা আপনারা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।

জাম কখন খেতে হয় ও জাম খাওয়ার অপকারিতা

আমরা যারাসাধারণত জাম খেতে পছন্দ করি তারা যখন জাম হাতের কাছে পাই তখন সময় টমে তেমন একটা দেখি না কারণ পছন্দের একটা ফল পেলে কি আর সহ্য হয় বলুন আর সময় দেখে ফল কে খায়। তবে ওই যে চিকিৎসা শাস্ত্র বলে দিয়েছে যদি আপনারা আপনাদের শরীরের উপকারে কোন খাদ্য উপাদান কাজে লাগাতে চান তাহলে সেটা সঠিক সময় সঠিক নিয়মে খেতে হবে আর এটাই হচ্ছে সমস্যা।

যদি ওরা না বলতো তাহলে আমিও বলতাম না কিন্তু এখন কি করার আপনাদের কি সঠিক নিয়ম বলে দিতে হবে আপনি তো জানার সুবিধার্থে বলে দিই আপনার যদি শরীরের উপকারের জন্য জাম খেতে চান তাহলে অবশ্যই এটা দিনের বেলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন যদিও রাতেও খেতে পারেন তবে দিনের বেলা খেলে বেশি উপকার পাবেন আর অবশ্যই এটা কখনোই খালি পেটে খাবেন না।

খাবার খাওয়ার পর জাম খাওয়াকে সঠিক নিয়ম বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যাইহোক আপনারা যেহেতু ভদ্রলোকের মতো দিনের বেলা নিয়ম মেনে ফল খাবেন হে তো আমারো উচিত আপনাদেরকে এর উপকারিতা সম্পর্কে বলে দেওয়া আপনারা যদি এরকম ভাবে জাম খেতে পারেন তাহলে আপনাদের হজম শক্তি আর শরীরের শক্তি দুটোই অনেক বেড়ে যাবে আর শরীর অনেক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

জামে কি কি পুষ্টিকর উপাদান থাকে ?

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; জামের ভিতরে থাকা  প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এগুলো আমাদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য চমৎকারভাবে কাজ করে।

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়াও  হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগীদের এবং বয়স্ক মানুষদের খাবার তালিকায় এই সুস্বাদু ফলটি রাখা উচিত। কারন জামের ভেতরে থাকা অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া,ও গ্যাস্ট্রো-এর মতো অ্যান্টি উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত ইনফেকশন দূর করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; জামের ভেতরে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া এগুলো জন্ডিসকে নিরাময় করতে সাহায্য করে আর এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আয়রনঘটিত সমস্যা সমাধানের জন্য  জাম খুবই ভালো একটি ফল । আর তাই আপনারা এটি অবশ্যই খাবেন কারণে যে সুস্বাদু ফল হওয়ার সাথে সাথে অনেক ঔষধি গুন সম্পন্ন একটি ফল।

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস,  ভিটামিন সি, প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং নিয়াসিনসহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; জামের মধ্যে থাকে পটাশিয়াম । আর জামের ভেতরে থাকা এই উপাদানটি আমাদের হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বুঝতেই পারছেন হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি এটা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে। 

  • জাম খাওয়ার উপকারিতা ; আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে সিগারেটের দোয়ার মধ্যে যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে তা আমাদের ফুসফুসের জন্য অনেক ক্ষতিকর কিন্তু যারা জাম খেতে অনেক পছন্দ করেন তারাই ক্ষতি থেকে অনেকটাই দূরে কারণ গ্রামের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান তাদেরকে ওই রাসায়নিক পদার্থ থেকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

জাম কখন পাওয়া যায়?

আমি আপনাদেরকে প্রথমেই বলেছি যে জাম একটি গরমকালীন ফল। অর্থাৎ এটা গরমকালে বেশি পাওয়া যায় আর গরমকাল ছাড়াও এই ফলটি পাওয়া যায় জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে। গ্রামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা প্রচুর পরিমাণে ঔষধি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে থাকে আমরা সবাই জানি রামের রং সাধারণত বেগুনি বা কালো হয়ে থাকে। যা খেতে একটু মিষ্টি সাথে সাথে হালকা টক হয়ে থাকে। 

লেখকের মন্তব্য 

জাম ফলটি অত্যন্ত্য সুস্বাদু একটি ফল সাধারণত গরমকালে আমরা এই ফলটি পেয়ে থাকি এই ফলের  উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আর যদি বুঝে থাকেন তাহলে অবশ্যই যখন জামের সিজন চলবে তখন অবশ্যই জাম ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনাদের শরীরের অনেক উপকার হবে তো এই ছিল আজকের আলোচনা অনেক বকবক করলাম আপনাদের সাথে অনেক পাকালাম তাইনা যাই হোক নেক্সট টাইম আলোচনা হবে আবার নতুন কোন ফল নিয়ে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।

ততক্ষণ সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url