অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার উপায়

গ্রীষ্মকাল এমন একটা সময় যে সময়ে গরম পড়বে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বর্তমানে গরমের পরিমাণ এতটাই বেশি যে কি আর বলবো সবারই নাজেহাল অবস্থা রোদের তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে অনেকের তো শরীরে এতটাই খারাপ হয়ে পড়ছে যা বলার বাইরে। এই তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। গরমে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের গরমের বিজ্ঞানীরা না মানে বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, তীব্র গরমে স্বাস্থ্যের ওপরে যে প্রভাব পড়ে , এতে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।


যে পরিমাণে রোদের তাপ বেড়ে চলেছে তাতে মনে হচ্ছে না বেঁচে থাকতে পারবো দিনদিন রোদের হিট যেন মাথার উপরে চলে আসছে। এই অবস্থায় নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে হলে কী করবেন আর কী করবেন না সেটা জেনে নেয়া খুবই জরুরী তাহলে চলুন আর দেরি না করে কি উপায়ে গরম থেকে বাঁচা যায় সেগুলো খুঁজে বের করা যাক ;

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার উপায় ?

গ্রীষ্মকালের এই অসহ্য গরম আর এই অসহ্য তাপমাত্রা জীবনে একজন নাজেহাল করে দিচ্ছে সূর্য মামার অতিরিক্ত ভালোবাসাতে আমাদের শরীরে পানির শূন্যতা দেখা দিচ্ছে। যার কারণে হিটস্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। সূর্য মামার প্রচণ্ড আদরে জনজীবন একদম নাজেহাল। তাপমাত্রা কমার কোনো ভাবই দেখা যাচ্ছে না।

এই অবস্থায় বাইরে যেতে খুবই বিরক্ত লাগে কিন্তু মানুষ তো কাজকর্মের জন্য হলেও বাধ্য হয়ে বাইরে যেতেই হয় কিন্তু এই তাপমাত্রায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে শিশু ও আমাদের যারা বুড়ো দাদা-দাদী রয়েছে তারা। তবে এই লেভেলের তাপমাত্রা যেকোনো মানুষের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। তাই কিছু বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। গরম থেকে বাঁচার জন্য যে সতর্কতা গুলো মেনে চলতে হবে চলুন জেনে নেই ;-

কোনো ব্যক্তি যদি গরমে অসুস্থ হয়ে যায় বা তার হিট স্ট্রোক হয়েছে বোঝা যায় তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে , ততক্ষণ অসুস্থ ব্যক্তিকে ঠান্ডা পরিবেশে শুইয়ে রাখা বা ভেজা রুমাল , গামছা বা তোয়ালে দিয়ে চোখ-মুখ মুছিয়ে দেওয়া এবং প্রয়োজনে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে শরীরে ও মাথায় পানি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।

প্রচণ্ড গরমে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় সেটা হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা তাই একদিনের মধ্যে যতটুকু সম্ভব বেশি করে পানি খান। পিপাসা না লাগলেও একটু পর পর জোর করে হলেও পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আবার বেশি জোর করে খাবেন না তাতে সমস্যা কমার থেকে আরো বাড়বে। সব সময় সঙ্গে পরিষ্কার পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ঘরের ভেতরে রাখা যে পানি একটু হলেও ঠান্ডা রয়েছে সেই পানি ধীরে ধীরে পান করুন। কিন্তু আরেক ধরনের ঠান্ডা পানি রয়েছে মানে স্পিড বা কোক এগুলো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। কারণ , এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি খেলে মানুষের শরীরের ছোট যেসব রক্তনালী রয়েছে সেগুলো ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপর বুঝতেই পারছেন কি হবে।

ছেলেদের বেশিরভাগ কাজ বাইরে গিয়ে করতে হয় তাই যদি বাইরে থাকার সময় আপনার হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে আপনার গায়ে যদি ডাইরেক্ট রোদ লাগে , তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধুয়ে ফেলবেন না। ওয়াশরুম যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বা ঠান্ডা পরিবেশে বসে রেস্ট করুন। এরকমভাবে ২০-৩০ মিনিট রেস্ট করার পরে আপনি যদি ফ্রেশ হয়ে নেন তাহলে আগের থেকে অনেক বেটার ফিল করবেন।

এই অসহ্য গরমে যতটুকু সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের যে হিট থাকে তাতে পুরো শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। কারণ এই সময় রোদের হিট অনেক বেশি থাকে। শিশুদের এ সময় বাইরে খেলাধুলা বা দৌড়ঝাঁপ করতে দেওয়া যাবে না বা বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকতে দেওয়া যাবে না। পেশাগত কারণে রাস্তায় রোদে যাঁদের থাকতেই হবে, তাঁরা কিছু সময় পর পর ছায়া বা ঠান্ডায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন।


এরকম গরমের সময় যতটুকু সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো বলে আমি মনে করি। কারণে অসহ্য গরমে যদি বাইরে বের হওয়া যায় তাহলে রোদের হিট ডাইরেক মাথার উপরে পড়ে যার কারণে বাসায় ফেরার পর আপনার অসহ্য পরিমাণ মাথা ব্যথা করতে পারে শুধু তাই নয় অসহ্যাঁচার কারণে রাজি আপনার ঘুমও ঠিকঠাক মত হবে না যা আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই যতটুকু সম্ভব বাইরে না বের হওয়ার চেষ্টা করবেন।

অতিরিক্ত গরমে করণীয় কি ?

যদি বাইরে বের হতেই হয় তবে বাইরে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা ও টুপি সঙ্গে রাখুন। আর আপনার পা যেন ঢেকে থাকে এমন জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করবেন। অনেকেই দেখা যায় অনেক টাইট জামা কাপড় পরেন এই অন্য গরমের মধ্যে টাইট জামা কাপড় পরা থেকে বিরত থাকবেন বা সিনথেটিক কিছু অবশ্যই পরবেন না। বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার চোখ রোদের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে কিছুটা হলেও বাঁচবে।


দেখা যায় অনেকেরই প্রচন্ড গরম সহ্য হয় না যার কারণে শরীরে প্রচন্ড পরিমাণ তাপ বাড়তে থাকে এবং এর কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও হতে পারে। এরকম হলে বা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ অস্বস্তি হলে ওরস্যালাইন পান করতে পারেন। অথবা বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লেবুপানি, লাচ্ছি বানিয়েও খেতে পারেন। অতিরিক্ত গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে ফলমূল খাওয়া উচিত কারণ ফলমূলের ভেতরে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এভাবে শরীরকে সব সময় রাখতে হবে।

দেখা যায় যাদের বাড়িতে এসি রয়েছে তারা বাইরে থেকে এসেই সরাসরি রুমে ঢুকে যায় আর এই প্রচণ্ড গরমে থেকে এসে এসির বাতাসের মধ্যে বসতে কারি বা না ভালো লাগবে। কিন্তু আপনাদের কাছে আমার একটাই সাজেশন থাকবে যে বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢোকার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ আগে অপেক্ষা করুন তারপর ভেতরে ঢুকুন।

আর একটা কথা ভেতরে ঢোকার আগে যেমন অপেক্ষা করেছেন ঠিক তেমনি বের হওয়ার পরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন যতক্ষণ না আপনার শরীর বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধারণ করতে পারে। এতে করে আপনার শরীরের উপর আলাদা করে কোন প্রভাব পরবে না।

এই জঘন্য গরমের মধ্যে অনেকেরই হিটস্ট্রোক এবং হিট ক্র্যাম্প এরকম ধরনের শারীরিক সমস্যার দেখা যেতে পারে এজন্য যতটুকু সম্ভব গরম কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে যখন দেখবেন আপনার অতিরিক্ত গরম লাগছে সাথে সাথে হয় আপনি গোসল করে নিবেন আর না হলে ওয়াশরুম গিয়ে হাত মুখ ভালো করে ধরে নিবেন।

আমার মতে যদি গোসল করতে বেশি সমস্যা হয় অজু করে নিবেন এতে করে আপনার শরীরে পবিত্র হয়ে যাবে আর সাথে সাথে একটু ঠান্ডা অনুভব করবেন। আশা করি যা বলেছে বুঝতে পেরেছেন।গরমকালে দেখা যায় মানে খুব কমই দেখা যায় যে মানুষ গোসল না করে আছে। কিন্তু এমন অনেকে রয়েছেন যারা সেমি করে গোসল করেন না তাদের কাছে আমরা সাজেশন থাকবে যে অন্তত এই গরমকালের মধ্যে আলসেমি না করে অবশ্যই গোসল করবেন নিয়মিত এতে করে আপনার শরীর পরিষ্কার থাকবে।

আর তাছাড়া গোসল করলে মন ভালো থাকেন এটা আপনার অবশ্যই জানেন প্রয়োজন পড়লে যদি গরম বেশি পরে তাহলে দিনে দু-তিনবার গোসল করলেও কোনো সমস্যা নেই তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে ঘামে শরীরে যেন গোসল না করেন অতিরিক্ত ঘাম হলে ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ বসুন তারপর শরীর হালকা ঠান্ডা হওয়ার পরে গোসলে যান।

গরমকালে দেখা যায় যে বাতাস ও অনেক গরম বয় অর্থাৎ বাইরের যে বাতাস সেটাও গরম লাগতেছে শুরু করে তাই দিনের বেলায় যদি অতিরিক্ত রোধ বের হয় তাহলে সেই রোদের সময় জানালা বন্ধ রেখে রোদ যখন পড়ে যায় তখন ঘরের জানালা দরজা সব খুলে দিন।

এতে করে ঘরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে। ঘরের জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করলে বাইরের রোদ টানবে না। চাইলে বাড়ির আশেপাশে ও, বারান্দায় অথবা ছাদে গাছ লাগাতে পারেন যা আপনার বাড়ির আশেপাশের। পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে ও সবুজ পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে।

এই গরমে কি খেলে শান্তি পাবেন ?

  • গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ;- তরমুজ নিঃসন্দেহে সবার কাছে অত্যন্ত পছন্দের একটি ফল আর গরমকালে বিশেষ করে তরমুজের চাহিদা আরো অনেক বেড়ে যায় গরমকালের মিষ্টি স্বাদের এই তরমুজ ফলটি সবার কাছেই একটা আকর্ষণীয় জিনিস। তবে আমি বলব যদি আপনি গ্রীষ্মকালে মজা নিতে চান তাহলে গরম জলে পড়ুক না কেন তরমুজ খেতে ভুলবেন না। কারণ এটি গরমের সময়ের জন্য বেশ উপযুক্ত একটি সুস্বাদু ফল।
  •  গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা ;- আমরা সাধারণত শসা খেয়ে থাকি মাংসের সাথে সালাত বানিয়ে আমার তো খুব মজা লাগে। কিন্তু আপনারা কি জানেন গরমের সময়ের জন্য শসা একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। তাই গরম কালে শশার সাথে লবন লাগিয়ে অবশ্যই খাবেন খুবই মজা লাগবে।
  • গরমে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ;- আমার আরেকটি পছন্দের ফলের নাম হল টমেটো টো আপনাদের মধ্যে যদি কেউ সালাত খেতে পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই টমেটোর সালাত খেয়েছেন অনেকে আবার পছন্দ নাও করতে পারে তবে আমার তো খুব ভালো লাগে আপনারা চাইলে এটা কে এমনি এমনি খাইতে পারেন আবার চাইলে সালাত বানিয়ে খেতে পারেন কারণ গরমের সময়ে একটি অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি।
  • গরমে দই খাওয়ার উপকারিতা ;- দই খেতে কার না ভালো লাগে। আমার ছোট ভাইয়ের দই খুবই পছন্দ। আমাদের বাসাতে যদি আব্বু দই আনে তাহলে আমাদের দুজনের মদ্ধ্যে দই নিয়ে মারামারি শুরু হয়ে যায়। যাই হোক এসব বলে আপনাদের সময় নষ্ট না করাই ভালো তবে আপনাদের সবার কাছে কিছু কথা সেয়ার করতে ভালো লাগে। দই নিঃসন্দেহে একটি সুস্বাদু খাবার। পাশাপাশি এটি অনেক উপকারী শরীরের জন্য। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তাই আপনারা গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খাবারের লিস্টে দই রাখতে পারেন এতে করে পেট ভোজন ও হবে আবার শরীর ও ঠিক থাকবে।

প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়

গরমে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আমি আপনাদের কিছু কথা বলি শুনুন গরম নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলেছেন ও সরি সরি আমার বলতে ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দেন কথাটা হবে স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করেন তারা বলেছেন বলছেন, অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরের ওপরে যে খারাপ প্রভাব টা পড়ে, এতে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা অর্থাৎ পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।


এ ছাড়া হিটস্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিচে দেওয়া পরামর্শগুলো যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনারাও থাকতে পারবেন সুস্থ ও স্বাভাবিক। আর একটা কথা যদি সম্ভব হয় অবশ্যই সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে বা অধিক পরিশ্রম থেকে যতটুকু সম্ভব নিজেদের বিরত রাখার চেষ্টা করবেন।

বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরাসরি রোদে না যাওয়াই ভালো। সূর্যের আলো থেকে চোখ কে রক্ষা করার জন্য রোদ চশমা বা যেটা কে আমরা সানগ্লাস বলে চিনি আর কি আপনারা চেষ্টা করবেন বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করার। এছাড়া সূর্যের আলোতে সরাসরি যাওয়ার বদলে বাইরে যাওয়ার সময় আপনারা সাথে করে ছাতা নিয়ে যেতে পারেন।

মাথায় ছাতা দিয়ে রাখলে এই অসহ্য তার থেকে আপনার শরীরও মাথা সুরক্ষিত থাকবে, এছাড়াও আপনারা চাইলে পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনাদের পা অনেকটা গরম থেকে রক্ষা পাবে। এগুলো মেনে চললেই আপনারা গরম থেকে নিজেদেরকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারবেন আর এই রোদ থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য ছোট ছোট যে পদক্ষেপগুলো বললাম সেগুলো মেনে চলা জরুরী। আশা করছি আপনারা মেনে চলবেন।

গরমের সময় বেশি বেশি করে পানি খাওয়া উচিত। অনেকেই দেখা যায় যে , এক গ্লাস পানি খেয়েই হাপিয়ে পড়ে কিন্তু এরকমটা করা মোটেই ঠিক না কারণ আমাদের শরীরের প্রায় 70 ভাগই পানি আর আমরা যদি শুধুমাত্র খাবার খেয়ে পানি এক গ্লাস খায় তাহলে কি হবে বলুন অবশ্যই হবে না শরীরে পানির ঘাটতি থেকে যাবে তাই আপনাদের কাছে আমার আরেকটা সাজেশন আছে গরমকালে যত বেশি পারবেন পানি খাবেন না যেন পেট ফেটে যায় ।

পানি ছাড়াও আরো কিছু পানি জাতীয় খেতে পারেন যেমন ডাব, জুস, লাচ্ছি, লেবুপানি, দই এগুলো খেতে পারেন। সেগুলো খেলে শরীর ঠান্ডা ও স্বাভাবিক থাকবে । গরমে সুস্থ থাকতে হলে কিছু খাবার খাওয়া আপনাদের বাদ দিতে হবে যেমন অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার আর খেলেও খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

এই অসহ্য গরমে কোথাও যদি বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে অবশ্যই যাওয়ার আগে সাথে করে পানি নিয়ে নেবেন। এছাড়াও আপনাদের আরেকটা কথা বলছি আপনারা যদি চান গরমের মধ্যেও ভালো করে শান্তি করে ঘুমাতে তাহলে অবশ্যই ঘুমানোর আগে গোসল করে নিবেন এতে করে আপনাদের শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে আর ঘুম ও ভালো হবে।

অনেক কেই দেখা যায় অনেক টাইড জামা পরেন কিন্তু আপনারা কি জানেন এমন ধরনের পোশাক পড়ার থেকে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরা কতোটা ভালো গরমকালে। আর এক্তা কথা ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে এবং ঘরে যাতে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন গরমকালে কারও যদি শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও মাথা ব্যাথা করে, তবে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াই সবথেকে ভালো।

অতিরিক্ত গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়

এই অসহ্য গরমের মধ্যে অনেকের মধ্যেই অনেক বেশি ক্লান্তি এছাড়া কুড়েমি অলসতা এগুলো দেখা যায়। তাই এ সময়ে বাইরের খোলা খাবার আর পানি খাওয়ার পরিমান অনেক বেড়ে যায়। তার ওপর গরমে সহজেই খাদ্যর যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগি দূষিত হয়ে থাকে। এছাড়াও বাইরের মাছি ও পোকামাকড়ের বংশ বিস্তার, রোগবালাই ছড়াতে সাহায্য করে। এসবের ফলে বাড়ে পানি ও খাবারবাহিত রোগের পরিমান। এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো জন্ডিস।


জন্ডিস থেকে বাঁচতে, বিশেষ করে রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আরেকটা বড় সমস্যা হলো গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির পরিমান অনেক বেড়ে যায়। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার গোসল করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত একবার গোসলের সময় গায়ে সাবান দেওয়া টা খুবি জরুরী।

ভিটামিন ‘সি’ আছে এমন খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। গরমকালে শরীরে প্রায় অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এ সময়ের একটি মারাত্মক শারীরিক সমস্যার নাম হলো হিটস্ট্রোক। চিকিৎসকদের মমতামত অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ যে ক্ষমতা থাকে সেটা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায় তাহলে তাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়ে থাকে

হিটস্ট্রোক যদি এড়াতে চান তাহলে অবশ্যই ঘরের ভেতরে যেখানে ঠাণ্ডা বা ছায়াযুক্ত জায়গা আছে সেখানে থাকতে হবে। পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানী , যেমন: খাবার স্যালাইন, ফলের রস, এগুলো খেতে হবে। যেসব পানি জাতীয় খাবার তাপ বাড়ায় যেমন: চা ও কফি যথাসম্ভব কম কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা ছৈলে গরমে প্রচুর সবজি খেতে পারেন। যেমন ; শসা , টমেটো ,লাউ , শাক-পাতা আপনার খাবারের লিস্টে রাখতে পারেন।

গরমকালে সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন ?

তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা মানুষজনের। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে অস্বস্তি , ক্লান্তির মতো একাধিক লক্ষন দেখা যায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে হলে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার। যেমন ;-


পানি ;- পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার পানি খাওয়া উচিত আর একজন, পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ ঠিক করাই ভালো।

লেবু ও ডাব ;- গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কাজ করে গরমের দিনে শরীর কে সুস্থ রাখতে। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা মিটিয়ে থাকে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়।

সবজি ;- কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই আপনাদের খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন।

মৌসুমি ফল ;- শরীরে পানির ঘাটতি দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো কাজ করে। কাঁচা আমেযা শরীরকে থাঠাণ্ডা রাখতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

বেলের শরবত ;- এই শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন যা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা ও কুল কুল রাখতে সাহায্য করে থাকে।

লেখকের মন্তব্য ;-

যে লেভেলের গরম পরেছে রে ভাই কি আর বলবো আমিতো নাজেহাল হয়েই পরেছি বাকি আমার সাথে সাথে সবাই নাজেহাল হচ্ছে এই গরমে ঠিকমত যদি শরীরের খেয়াল না রাখা যায় এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া কোন অস্বাভাবিক বিষয় না যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করলাম আপনাদেরকে সতর্ক করার যদি নিজেকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই গরমে নিজেদের সম্পূর্ণ খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন আর আমার তথ্যগুলো যদি আপনাদের উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট টি ফলো করবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথেও সেয়ার করবেন তাহলে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url