ফেসবুক মনিটাইজেসন অন করতে হলে কি কি করতে হবে তার যাবতীয় বিবরণ
এখনি জেনে নিন ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার উপায়যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাঁচ হাজার ফলোয়ার এবং ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচ
টাইম সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ভাবছেন যে আমার কেন মনিটাইজেশন অন
হচ্ছে না ? এর একটাই কারণ হলো ফেসবুক আপনাকে যে কন্ডিশন গুলো দিয়েছে সেগুলো আপনি
পূরণ করেছেন ঠিকই কিন্তু মডিটাইজেশন অন করার জন্য আরো যে অপশনগুলো রয়েছে সেগুলো
আপনি এখনো চালু করেন নি। এখন হয়তো আপনাদের মাথায় আসছে কোন কাজটা কমপ্লিট করা
হয়নি আমি আপনাদেরকে আজকে দেখিয়ে দেব মনিটাইজেশন অন করার জন্য শেষ কাজগুলো কি কি
?
আজকের এই পোষ্টে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিব কিভাবে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি
দিয়ে আপনারা আপনাদের মনিটাইজেশন অন করার কাজগুলো করবেন। তাহলে দেরি না করে শুরু
করা যাক। তো আর দেরি না করে আপনার হাতে যে স্মার্টফোনটি রয়েছে সেটা হাতে নিন এবং
আমি নিচে যেগুলো বলবো সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করুন ;
- প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনার ফেসবুক অ্যাপ এর ভেতর ঢুকুন।
- এরপর সরাসরি আপনার পেজের মধ্যে চলে যান।
- পেজের ভেতর যাওয়ার পরে আপনি প্রোফাইল পিকচার নামে যে অপশনটি পাবেন সেখানে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পর যখন আপনি যখন প্রোফাইলে প্রবেশ করবেন তখন প্রোফাইল পিকচার অর্থাৎ আপনার যে প্রোফাইল দেওয়া আছে তার উপর ক্লিক করুন।
- ভেতরে ঢোকার পরে, ঠিক প্রোফাইলের নিচে দেখবেন ভিউ টুলস নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে একটা ক্লিক করুন।
- সেখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে আরেকটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে একটু নিচের দিকে গেলেই দেখতে পাবেন মনিটাইজেশন অপশন নামে একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পরেই আপনার ফোনের স্ক্রিনে একটি অপশন আসবে সেখানে মনিটাইজেশনের নিচে লেখা থাকবে গেট স্টার্টেড নামে একটি অপশন সেখানে আবার একটি ক্লিক করুন।
- ভিতরে ঢোকার পরে দেখতে পাবেন ইনস্টিম এড নামক একটি অপশন রয়েছে সাধারণত এটা দিয়ে মনিটাইজেশন অপশনটি চালু করা হয়ে থাকে ইনক্রিমেন্ট অ্যাড এর পাশেই সেট আপ নামে একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পর আবারো দেখতে পাচ্ছেন গেট স্টার্টেড নামক একটি অপশন সেখানে আবার একটি ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পরে আপনাদের সামনে একটি ফরম চলে আসবে সেখানে সাধারণত ফার্স্ট নেম লাস্ট নেম জন্মতারিখ এবং দেশের নাম লিখতে হয় তো আপনাকে সুন্দরভাবে সব তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হবে।
অনেকেই এই ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না যে নামটা কিভাবে লিখব কারণ ওখানে ফার্স্ট নেম
আর লাস্ট নেম লেখা থাকে তো অনেকের কাছেই ব্যাপারটা একটু দ্বিধা জনক হয়ে থাকে।
আমি আপনাদেরকে একটু পরিষ্কার ভাবে বলে দি ব্যাপারটা। আমি আমার নাম দিয়ে আপনাদের
উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিই ধরুন আমার নাম নাফিউর রহমান আকাশ তাহলে আমি ফার্স্ট
নেমে লিখব যে নাফিউর রহমান এবং লাস্ট নেম অপশনে লিখব আকাশ। তাহলে আপনার নামটি
সুন্দরভাবে সেখানে পৌঁছে যাবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরেকটা কথা ফেসবুক অবশ্যই আপনারা ইনকাম করার জন্যই মনিটাইজেসন অন করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আমি আশা করব আপনাদের প্রত্যেকেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে। আর এখানে নামটি অবশ্যই আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম অনুসারে দিতে হবে আর যদি আপনার নিজের একাউন্ট নাও থেকে থাকে তাহলে আপনার পিতা মাতা যে কোন একজনের ব্যাংক একাউন্ট আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুকে এই ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা করবে না তাই আপনি নির্দ্বিধায় আপনার পিতা মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর নাম এখানে দিতে পারেন। আশা করি এই বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন রকম সন্দেহ বা দ্বিধা নেই। এবার চলুন পরে আপনাদের আরো কি কি অপশনে ভেতর যাইতে হবে সেগুলো দেখে নি ;
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরেকটা কথা ফেসবুক অবশ্যই আপনারা ইনকাম করার জন্যই মনিটাইজেসন অন করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আমি আশা করব আপনাদের প্রত্যেকেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে। আর এখানে নামটি অবশ্যই আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম অনুসারে দিতে হবে আর যদি আপনার নিজের একাউন্ট নাও থেকে থাকে তাহলে আপনার পিতা মাতা যে কোন একজনের ব্যাংক একাউন্ট আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুকে এই ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা করবে না তাই আপনি নির্দ্বিধায় আপনার পিতা মাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর নাম এখানে দিতে পারেন। আশা করি এই বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন রকম সন্দেহ বা দ্বিধা নেই। এবার চলুন পরে আপনাদের আরো কি কি অপশনে ভেতর যাইতে হবে সেগুলো দেখে নি ;
- ফর্মটি পূরণ করার পরে নিচে দেখবেন নেক্সট নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- এরপরে যে ইন্টারফেস আপনি দেখতে পাবেন সেখানেই দেখবেন যে কান্ট্রি অর্থাৎ দেশের নাম সিলেক্ট করা আপনি যদি বাংলাদেশের হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ দিবেন এবং যদি আপনি দেশের বাইরে থেকে থাকেন তাহলে সেই দেশের নাম আপনি সেখানে দিতে পারেন।
- কান্ট্রি অপশনটি পরে নিচে দেখবেন আরেকটি অপশন দেয়া আছে সেটার নাম হল বিজনেস টাইপ বিজনেস টাইপ। এই অপশনটির ডান সাইডে দেখবেন যে, একটি ড্রপ ডাউন মেনু দেয়া যেখানে ক্লিক করে আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার পছন্দের কোন মেনু সেখানে আছে কিনা? যদি থেকে থাকে আপনি সেটাকে সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
- এগুলো করা হয়ে গেলে দেখবেন নিচের আবারো নেক্সট নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার কাছে আবারো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। সেখানে আপনি দেখতে পাবেন ফার্স্ট
নেম এবং লাস্ট নেম আগে থেকেই দেওয়া আছে। কারণ এর আগে আমরা এগুলো পূরণ করে এসেছি
কিন্তু এগুলো নিচেও আরও একটি অপশন রয়েছে সেটার নাম হল প্রাইমারি এড্রেস আর সেটা
আপনাদেরকে দিতে হবে প্রাইমারি অ্যাড্রেসটা আপনারা অবশ্যই একটু সাবধানে দিবেন কারণ
ফেসবুক থেকে যদি আপনাকে কোন নোটিশ বা চিঠি দেয়া হয় তাহলে সেটা আপনা্নারা
সেখানেই দেখতে পাবেন।
- এরপর নিচে দেখবেন টাউন বা সিটি আমাকে একটু অপশন দেয়া সেটা ভালো করে পূরণ করে নিবেন অর্থাৎ আপনি যে সিটিতে থাকেন সেটার নাম দিবেন আর কি !
- এরপর নিচে দেখবে না আরও একটি অপশন রয়েছে অপশনটির নাম হলো কান্ট্রি বা রিজেন সেখানে আপনাকে আপনার বিভাগ দিতে হবে অর্থাৎ আপনার বিভাগ কি সেটা দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর যে অপশনটি থাকবে সেটা হল ফোন নাম্বার আপনি যে ফোন নাম্বারটি সবসময় ব্যবহার করেন অর্থাৎ যে ফোন নাম্বারটি আপনার কাছে সবসময় থাকে সে নাম্বারটি দিলে সবথেকে ভালো হয়।
- এরপর থাকবে ইমেইল অপশন আপনার ফোনের ইমেইলটি রয়েছে আজ এই মেইলের পাসওয়ার্ড আপনার সবসময় মনে থাকে সেই ইমেইলটি আপনি দিয়ে রাখতে পারেন এটা আপনার জন্য ভালো হয়।
এরপর আপনাকে যে অপশনটি দিতে হবে সেটা হলো টিন নাম্বার এবার অনেকে প্রশ্ন আসবে যে
টিন নাম্বার আবার কি ? চিন্তা নেই আমি বলে দিচ্ছি টিন নাম্বারের পূর্ণরূপ হলো
ট্যাগ আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। এখন টিন নাম্বার আপনারা কিভাবে পাবেন বা কিভাবে
সংগ্রহ করবেন সে বিষয়ে আপনাদের কিন্তু অবশ্যই জানা দরকার আপনার যদি এ বিষয়ে
জানতে চান তাহলে আমি পরবর্তী পোস্টে এটা নিয়ে বিস্তারিত আপনাদেরকে জানাবো।
- এর পরে আপনারা নিচের দিকে ভ্যাট নামক একটি অপশন পাবেন কিন্তু সেটা না দিলেও চলবে অর্থাৎ না দিলে কোন সমস্যা হবে না তো এই হয়ে গেল সবরকম তথ্য তাদের কাছে দিয়ে দেওয়া কিন্তু আপনারা অবশ্যই উপর থেকে নিজ পর্যন্ত সবগুলো তথ্য ঠিকমতো দিয়েছেন কিনা চেক করে নিবেন।
- তো সবগুলো যদি চেক করা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে চলে যান একদম নিচের দিকে নিচের দিকে গিয়ে দেখবেন একটা অপশন রয়েছে সেখানে খালি ঘরে টিকমার্ক করে নেবেন।
- এরপর নিচের দিকে দেখবেন নেক্সট নামক একটি অপশন দেওয়া সেখানে ক্লিক করুন
এরপরে যে ইন্টারেস্টে আসবে সেখানে বলবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে এক্ষেত্রে
আপনি আপনার লোকাল অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে পারেন। কিন্তু এই বিষয়ে অনেকেই
দ্বিধাদ্বন্দে থাকেন যে আমি ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট দিতে পারব কিনা সোনালী
ব্যাংক একাউন্ট দিতে পারব কিনা বা আমি একদম লোকাল একাউন্ট করেছি ঠিক যেমন জনতা
ব্যাংকে আমার অ্যাকাউন্ট রয়েছে বা অগ্রণী ব্যাংক এছাড়াও রয়েছে বেসরকারি যেসব
ব্যাংক এসব ব্যাংকের একাউন্ট আমি কি দিতে পারব কিনা।আরও পড়ুন ঃ ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় ?
এগুলো নিয়ে অনেকেই ভয় থাকে বা দ্বিধায় থাকে এই ব্যাপার নিয়ে আমি আপনাদের
স্পষ্ট ভাবে বলে দিচ্ছি যে, আপনি যে একাউন্টটি দিন কোন রকম কোন সমস্যা হবে না
আপনি চাইলে জনতা ব্যাংক সোনালী ব্যাংক বা যে কোন লোকাল ব্যাংকের একাউন্ট সেখানে
দিতে পারেন আশা করছি আপনারা এবার নিশ্চিন্ত হয়ে গেছেন। এখন হয়তো আপনাদের মনে
প্রশ্ন আসছে যে কোন এখন দিতে পারব কোন সমস্যা হবে না। তো কেন দিতে পারবেন সেটা
আমি আপনাদের একটু পরে বলছি।
তো আপনার এখন যে ইন্টারফেসে রয়েছেন সেখানে দুইটা অপশন রয়েছে প্রথমটা হলো
ম্যানুয়ালি লিঙ্ক ব্যাংক একাউন্ট আর দ্বিতীয় টা হল পেপাল একাউন্ট। পেপাল
একাউন্ট যেহেতু আমাদের দেশে নেই । সেহেতু আমাদেরকে ম্যানুয়ালি লিংক ব্যাংক
একাউন্ট সিলেক্ট করতে হবে। তো আপনারা সেটা সিলেক্ট করে নিন।
ব্যাঙ্ক সিলেট করার পরে আপনাদের কাছে আরো কিছু অপশন চলে আসবে তার মধ্যে প্রথম
অপশন হল অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নেম এরপর দিতে হবে সুইফট কোড এরপর আপনাদের মনে অনেকের
প্রশ্ন আসতে পারে যে সুইফট কোড আমরা আবার কোথায় পাবো আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট
করেছেন বা যেখান থেকে আপনার একাউন্ট খুলেছেন সেখানে যদি গিয়ে আপনি বলেন যে,
আপনার একাউন্টে সুইফট কোড আপনার লাগবে। তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে সেটা দিয়ে
দিবেন এবং সেখান থেকে আপনি সেটা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
- সুইফট কোড দিয়ে দেওয়ার পর নেচার একটু অপশন দেখতে পাবেন সেটা হল ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার সেখানে আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারটি যুক্ত করে দিন।
- এরপরের একটু নিচে গিয়ে দেখতে পাবেন লিংক পে-আউট মেথড নামে একটি অপশন। সেখানে ক্লিক করে দিন
- সেখানে গিয়ে আপনারা দেখতে পাবেন অ্যাড ট্যাক্স ইনফো নামে একটি অপশন দেওয়া সেখানে ক্লিক করুন।
- ক্লিক করার পর সেখানে যে ইন্টারেস্টটি আসবে সেখানে দেখবেন প্রথমটা সিলেক্ট করা আছে আগে থেকেই।
- দ্বিতীয় অপশনে গিয়ে দেখবেন নামে একটি অপশন দেওয়া অর্থাৎ সেই অপশন তে জানতে চাইছে যে আপনি আমেরিকার বাসিন্দা কিনা যদি আপনি সেখানকার বাসিন্দা হয়ে থাকেন বা গ্রীন কার্ড ধারী হয়ে থাকেন তাহলে সেখানে ক্লিক করুন আর যদি না হয়ে থাকেন তাহলে নো লেখা যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- ওখানে নো অপশনে ক্লিক করার পরে আরেকটি অপশন নিচে দেখতে পাবেন সেখানেও নো অপশনে ক্লিক করুন এরপর নিচে যে নেক্সট নামক অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
এরপর আপনাদের সামনে আরো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে আপনি দেখতে পাবেন
কান্ট্রি বা সিটিজেনশিপ নামে একটি অপশন দেওয়া আপনি যদি বাংলাদেশ নাগরিক হয়ে
থাকেন তাহলে সেখানে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে নিন আর যদি বাইরে দেশের হয়ে থাকেন মানে
যে দেশের হয়ে থাকেন সেই দেশের নাম সিলেক্ট করে নিন।
- সিলেক্ট হয়ে যাওয়ার পরে নিচে যে নেক্স নামক একটি অপশন রয়েছে সেই বাটনে ক্লিক করুন।
- এরপর দেখবেন আপনার সামনে কি ইন্টারেস্ট চলে আসছে সেখানে একটি ফরম দেয়া যেটা আপনি আগে থেকে কমপ্লিট করে রেখেছেন বা পূরণ করে রেখেছেন আর কি ! তো আপনার এখানে আর কিছু করার দরকার নেই ডাইরেক্ট গিয়ে নিচে যে নেক্সট নামে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।
- এরপর আবারো আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে আপনার কিচ্ছু করতে হবে না শুধু নেক্সট নামক অপশনে ক্লিক করে দিন।
- ঠিক করার পরে আপনার সামনে যে ইন্টারেস্টটি আসবে সেখানে বিস্তারিত পড়ার কোন দরকার নেই সেখানে শুধুমাত্র জিরো পার্সেন্ট দেয়া এরকম একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে দিন। জিরো পার্সেন্ট সেই অপশনটি সিলেক্ট করে নেয়ার পরে আপনি সরাসরি নিচের নেক্সট বাটনে ক্লিক করে দিন।
এরপর আপনার সামনে আরো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে অনেকগুলো লেখালেখি করা
থাকবে কোন দিকে নজর না দিয়ে ডাইরেক্ট ট্রল করে নিচের দিকে চলে যান নিচের দিকে
যাওয়ার পরে দেখবেন সিগনেচার নামক একটি ঘর রয়েছে। ঠিক তার উপরে আরো একটি অপশন
রয়েছে সেখানকার খালি ঘরে টিক মার করে দিন। এরপর সিগনেচার নামক যে অপশনটির কথা
বললাম সেখানে আপনার পুরো নাম লিখে ঘরটি পূরণ করতে হবে।
আর হ্যাঁ আপনাদেরকে মনে করিয়ে দি, নাম তারই থাকবে যার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর ডিটেলস
আপনি জমা দিয়েছেন অর্থাৎ যদি আপনি আপনার পিতার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে
থাকেন তাহলে সেখানে আপনার পিতার পুরো নামটি দেওয়াই ভালো হবে আশা করি বুঝতে
পেরেছেন।
- এরপর নিচে দেখবেন আরও কিছু অপশন দেওয়া যেগুলো ওরা নিজেদের মতো করে দিয়েই রাখবে আপনি শুধু নিজের নেক্সট বাটনে ক্লিক করে দিবেন।
- এরপর আপনি যে ইন্টারফেসে এসে পৌঁছাবেন সেখানে আপনি দেখতে পাবেন একটা ফর্ম দেয়া একটু বেশি কিছু লক্ষ্য না করে আপনি ডাইরেক্ট নিচের দিকে চলে আসবেন। এসে দেখতে পারবেন লেখা সাবমিট ফরম সেখানে সুন্দর করে একটা ক্লিক করে দিন।
- এই ক্লিকটা করার পরে আপনি এতক্ষণ ধরে ফেসবুকে যত তথ্য দিচ্ছিলেন তাদের কাছে পৌঁছে গেল অর্থাৎ আপনার ফরমে পূরণ করা যাবতীয় তথ্য আপনি তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিলেন।
এরপর আপনার সামনে আরো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে লেখা থাকবে পিওর
অ্যাপ্লিকেশন ইস বিং রিভিউড অর্থাৎ ফেসবুক এর কাছে আপনার এই আবেদনটি ইতিমধ্যে চলে
গেছে।
যেহেতু আপনার একাউন্ট এখন তাদের কাছে চলে গেছে আর যাবতীয় সব তথ্য তাদের
কাছে রয়েছে এখন তারা যে কাজটি করবে সেটা হলো , আপনার অ্যাকাউন্টের যাবতীয়
সবকিছু তারা ভালো মতো যাচাই-বাছাই করবে। আর যাচাই-বাছাই করার পরে যদি তারা দেখে
যে মনিটাইজেশন অন করার জন্য এই অ্যাকাউন্টটি উপযুক্ত আর একাউন্টে কোন ধরনের
সমস্যা নেই, তাহলে তারা পরবর্তীতে আপনার একাউন্টে অপশনটি মনিটাইজেশন অপশনটি অন
করে দিবে।
আর যদি আপনার অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশন অন না হয় রিজেক্ট হয়ে যায় তাহলে তার কারণও
তারা বিস্তারিত জানিয়ে দিবে যে কেন আপনার একাউন্টে মরিন্তাজেশন হলো না।
সাধারণত একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তাদের কাছে জমা দেয়ার পরে মনিটাইজেশন অন হওয়ার
জন্য এক সপ্তাহ থেকে একমাস সময় লাগতে পারে। যদি আপনার মনিটাইজেশন অপশনটি চালু
হয় তাহলে একদম ২২ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে আপনার যে কোন লোকাল ব্যাংকের
অর্থাৎ যে একাউন্টের নাম্বার আপনি দিয়েছেন সেই অ্যাকাউন্টের তারা ওই সময়ের
মধ্যে টাকা পৌঁছে দিবে।
এখন হয়তোবা অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে টাকাটা ডলারের আসবে নাকি সাধারণ
টাকার মতোই আসবে ? উত্তরটা হল , যেওই টাকা টা প্রথমত আসবে বাংলাদেশ ব্যাংকে আর
সেটা ডলারের হিসেবে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আসার পরে পরবর্তীতে আপনি যে লোকাল
ব্যাংকের নাম্বার তাদেরকে দিয়েছেন সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ডলার টাকাকে সাধারণ
টাকায় রূপান্তরিত করে পৌঁছে দিবে।
তো এটাই ছিল ফেসবুক নোটিফিকেশন অন করতে হলে আপনাদেরকে কি কি করতে হবে এবং কোন কোন
অপশনের মধ্যে যাইতে হবে তা নিয়ে যাবতিয় সব কথা। আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে
আসবে এবং আপনারা ধাপে ধাপে সব কাজগুলো সঠিক মত করতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য ;
টাকা ইনকাম করতে সবাই যায় কিন্তু পরিশ্রম করতে কেউ চায় না কিন্তু সত্য কথা এটাই
যে টাকা ইনকাম করতে হলে পরিশ্রম ও করতেই হবে। ফেসবুক থেকে বর্তমানে অনেকেই অনেক
টাকা ইনকাম করছে। আপনি যদি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফেসবুক আপনাদের
যে শর্তগুলো দিয়েছে সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। আর আমি চেষ্টা করব আপনাদের
কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার ততক্ষণ আকাশ সিটির সাথেই থাকুন।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url