ই টিন সার্টিফিকেট কীভাবে তৈরি করতে হয় তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় সব নিয়মাবলি

জেনে নিন ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করার কিছু উপায়এখন থেকে ই টিন সার্টিফিকেট করার জন্য আপনাদের আর বেশি কষ্ট করতে হবে না। এখন শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়েই আপনি করে ফেলতে পারবেন ই টিন সার্টিফিকেটের যাবতীয় সব কাজ। আজকের আলোচনাতে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনারা ই টিন সার্টিফিকেট নিজেরাই নিজেদের জন্য হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে রেডি করে ফেলতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক ;


এখন আমি আপনাদেরকে ধাপে ধাপে যেগুলো করতে বলব সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই নিজের ই টিন সার্টিফিকেট টি অনলাইনের মাধ্যমে করে নিতে পারবেন। তাহলে আমি এখন যেগুলো বলছি সেগুলো পড়ুন আর নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি হাতে নিন এবং আমার সাথে সাথে আপনারাও করে ফেলুন ই টিন সার্টিফিকেট তৈরি ;

ই টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার সম্পূর্ণ নিয়ম

আগেই বলে রাখি আমি আপনাদের কিছু ফর্ম পূরণ করতে বলবো এখানে তো অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুসারে ফর্মগুলো পুরন করবেন। না হলে পরে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।
  • প্রথমে যে কাজটি আপনাদের করতে হবে সেটা হলো , আপনার ফোনের মধ্যে থাকা ক্রম ব্রাউজার এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
  • এরপর আপনারা সরাসরি চলে যাবেন সার্চ নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে এবং সেখানে গিয়ে সার্চ করবেন E Tin লিখে। এরপর ডান সাইডে দেখবেন সার্চ নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে সার্চ করবেন।
  • এরপরেই দেখবেন নিচে অনেকগুলো রেজাল্ট চলে আসছে তার মধ্যে প্রথমে যেটা রয়েছে সেটাতে ক্লিক করুন।

  • উপরে দেখবেন চারটা অপশন দেওয়া। সেই চারটি অপশনের মধ্যে রেজিস্টার্ড নামক একটি অপশন থাকবে সেখানে ক্লিক করুন।রেজিস্টার বাটনে চাপ দেয়ার পরে আপনি দেখতে পাবেন আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসছে সেটা আপনাকে সুন্দর ভাবে পূরণ করতে হবে।
ফরমে দেয়া প্রথম অপশনে আপনি দেখতে পাবেন যে ইউজার আইডি নামক একটি অপশন রয়েছে সেখানে আপনার পছন্দমত একটি নাম আপনি দিয়ে দিতে পারেন। যেমন সেখানে আপনি আপনার ডাকনাম এবং সাথে কিছু আপনার মনে রাখার মত সংখ্যা দিয়ে দিলেন ব্যাস হয়ে গেল আপনার ইউজার আইডি নাম দেয়া কমপ্লিট। আপনাদের সতর্কতার জন্য বলে দি আপনারা চাইলে আপনাদের ইউজার আইডি নাম আপনাদের কোন ডাইরিতে লিখে রাখতে পারেন। যাতে করে আপনারা সেটা ভুলে না যান। কারণ পরবর্তীতে এটার দরকার পড়বে। তো আপনার ইউজার আইডি টা দিয়ে দিবেন।

এরপরে যে অপশনটি থাকবে সেটার নাম হচ্ছে পাসওয়ার্ড। তো আপনারা একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবেন যা আপনারা সব সময় মনে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ মনে রাখার মত একটি পাসওয়ার্ড আর কি !
এরপর ওই একই পাসওয়ার্ড আবার পরে নিচে নির্ভুলভাবে লিখে দিয়ে দিতে হবে।

এরপরে যা থাকবে সেটার নাম হচ্ছে সিকিউরিটি কোশ্চেন Question। সেখানে আপনারা একটি ক্লিক করবেন। তারপরে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন। সেখান থেকে আপনি যেকোন এক্তি প্রশ্ন সিলেক্ট করে নেবেন। ধরুন, what is your favourite colour এরকম একটি কোশ্চেন Question তো, আপনারা আপনাদের পছন্দের যে রং রয়েছে বা কালার রয়েছে সেটা ওখানে দিয়ে দিবেন সেটা হতে পারে সাদা কালো নীল যেটা আপনাদের ইচ্ছা আর কি !

আরও পড়ুন ঃ ঘরে বসে কীভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় ?

আপনার হয়তো এখন ভাবছেন পছন্দের কালার নিয়ে ওরা আবার কি করবে ? আসলে যদি পরবর্তীতে আপনার আইডিতে কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনার পরিচিতি কনফার্ম করার জন্য ওরা আপনাকে এটা জিজ্ঞেস করতে পারে কারণ এই প্রশ্নটির উত্তর আপনি ছাড়া আর অন্য কেউ দিতে পারবেনা। তাই প্রপার সিকিউরিটির জন্য ওরা এই প্রশ্নটিই দিয়ে থাকে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

তারপরে যে অপশনটি থাকবে সেটা হচ্ছে কান্ট্রি নামক একটি অপশন। সেটা অটোমেটিক্যালি আগে থেকেই দেয়া থাকবে। তো আপনাদের নতুন করে কিছু দেয়ার দরকার নেই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরপরে থাকবে ফোন নাম্বার আপনারা আপনাদের সচল একটি ফোন নাম্বার সেখানে দিয়ে দিবেন যেটা আপনাদের কাছে সব সময় থাকে। অর্থাৎ যেটা সব সময় ব্যবহার করেন।
  • নিচে থাকবে ইমেইলের একটি অপশন সেটা আপনারা চাইলে দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন। না দিলেও কোন সমস্যা হবে না।
  • এরপরে নিচের ভেরিফিকেশন লেটার্স নামে একটি অপশন থাকবে। যেখানে আপনাকে আগে থেকেই উপরে কিছু ওয়ার্ড দেয়া থাকবে সেগুলো দেখে দেখে সতর্কতার সাথে নিচে ওই ওয়ার্ডগুলো দিয়ে পূরণ করতে হবে। দেখবেন যাতে ভুল না হয় আর যদি ভুল হয়েও যায় ওরা আবার কিছু নতুন করে দিবে আর আপনাকে আবার ওগুলো দেখে দেখে নিচে পূরণ করতে হবে।
  • ঠিক আছে আপনার কাজ এখন প্রায় শেষ রেজিস্ট্রেশন ফরমের যে তথ্যগুলো তারা দিতে বলেছেন আমাদের প্রায় সবগুলো তথ্য দেয়া শেষ। এবার আপনারা নিচে দেখবেন রেজিস্টার নামক একটি অপশন বা বটল রয়েছে সেখানে আস্তে করে একটা ক্লিক করে দিন।
  • রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার যে ফোন নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেখানে একটি কোড যাবে।আর সেই কোডটি আপনি বর্তমানে যে ইন্টারফেসে রয়েছেন সেখানে লেখা থাকবে E-tin activation code এখন সেই খালি ঘরে আপনাকে ওই কোডটি বসিয়ে দিতে হবে।
  • কোট বসিয়ে দেয়ার পরে নিচে দেখবেন একটিভেট নামে একটি বাটন রয়েছে। সেখানে ক্লিক করে দিন।
  • হ্যাঁ আপনার রেজিস্ট্রেশন প্রায় কমপ্লিট। এখন আপনাকে সরাসরি হোমে নিয়ে যাওয়া হবে এবং বলা হবে লগ ইন করার জন্য। তো আপনারা লগ ইন বাটনে ক্লিক করে দিন।

  • এরপর আপনাদের যে ইন্টারফেসে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনাদেরকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে। তো আপনাদেরকে যে ইউজার আইডি লিখে রাখতে বলছিলাম সে ইউজার আইডি এবং যে পাসওয়ার্ড আপনারা দিয়েছেন সেটা ওখানে দিয়ে দিবেন।
  • এরপর আপনারা লগইন বাটনে ক্লিক করে দিবেন। ক্লিক করার পরে আপনাদেরকে আরও একটি ইন্টারফেঁসে নিয়ে যাওয়া হবে।
  • এরপর আপনাদেরকে যে ইন্টার ফেসে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে নিচের দিকে লেখা থাকবে For Tin Registration click here তো আপনারা Here নামক ঐ অপশনটির ওপর ক্লিক করে দিবেন।
  • ওখানে ক্লিক করার পরে আপনাদের সামনে আরো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে যেখানে একটি বড় ফর্ম দেয়া থাকবে।
সেখানে গেলে প্রথমেই দেখতে পাবেন। করদাতার ধরন নামক একটি অপশন দেয়া তো আপনারা সেখানে ক্লিক করে দিবেন এবং ভিতরে গেলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন দেওয়া। তার মধ্যে প্রথম যে অপশনটি থাকবে সেটা হচ্ছে ইন্ডিভিজুয়াল বাংলাদেশি নামে একটি অপশন। সো যেহেতু আমরা বাংলাদেশী সেহেতু আমরা সেখানে ডান সাইডে গোল জায়গা থেকে সেটা ভরাট করে দিবো।
  • এরপরে আপনার দুই নাম্বার অপশন কি জিনিস দেখতে পাবেন অর্থাৎ ইনডিভিজুয়াল বাংলাদেশি লেখা থাকবে তো আপনারা বাংলাদেশি সিলেক্ট করে রাখবেন।
এরপর আপনারা ফর্মে টিন নাম্বার অপশনে গেলে দেখতে পাবেন নিউ রেজিস্ট্রেশন নামক একটি অপশন দেওয়া তো সেটা ওভাবেই থাকবে আমরা নিচের দিকে চলে যাবো ঠিক আছে। এরপর যে অপশনটি থাকবে সেটার নাম হচ্ছে purpose of Tin অর্থাৎ কি উদ্দেশ্যে আমরা টিন খুলছি সেটার কারণ সেখানে দিতে হবে। ভেতরে ঢুকলে আপনি অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন তার মধ্যে যে কারণে আপনি টিন খুলছেন সে কারণটি আপনার সিলেক্ট করে দিয়ে দিতে হবে।
  • এরপরে যে অপশনটি থাকবে সেটার নাম হচ্ছে Main source of income অর্থাৎ আপনার আয়ের প্রধান উৎস কি ? তো সেখানে অনেকগুলো অপশন দেয়া থাকবে তার মধ্যে একটি অপশন আপনাকে দিয়ে দিতে হবে।
  • এরপরে লোকেশন অফ মেইন ইনকাম কোর্স নামে একটি অপশন থাকবে সেটাও আপনি যেখানে থাকেন বা যেখানে আপনার কাজকর্ম সে অনুযায়ী জায়গা সিলেক্ট করে আপনাকে দিয়ে দিতে হবে।
  • এরপরে সার্ভিস লোকেশন তার উপরে একটি ক্লিক করবেন এবং দেখতে পাবেন অনেকগুলো অপশন চলে আসবে সেখানে অনেকগুলো অপশনের মধ্যে আপনি যে জেলায় বসবাস করেন সেই জেলার নাম আপনি দিয়ে দিতে পারেন।
  • এরপর দেখতে পাবেন আপনার প্রায় সব কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
সম্পূর্ণখয়ে গেলে দেখবেন গো টু নেক্সট নামটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করে দেবেন। ওখানে ক্লিক করার পরে একটি বিশাল পরম আপনার সামনে চলে আসবে একদম বিরক্ত হবেন না ঠান্ডা মাথায় একটু সময় নিয়ে সেটা পূরণ করতে হবে।
ছবি ছয়
আপনাদের সতর্কতার কথা বলে রাখি এ পর্যন্ত আপনারা যে কয়টি ফরম পূরণ করলেন সেখানে দেয়া প্রত্যেকটি তথ্য আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের যেভাবে দেয়া আছে সেভাবে দিলেই আপনার জন্য ভালো হবে তাহলে পড়ে কিন্তু আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।
  • আপনারা ভোটার আইডি তথ্য অনুসারে সতর্কতার সাথে ফরমটি সুন্দরভাবে পূরণ করে নিবেন।
  • ফরম পূরণ করা হয়ে গেলে নিচে দেখবেন গো টু নেক্সট নামে একটা অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে দিবেন।
  • এরপর আপনি দেখতে পাবেন এতক্ষণ ধরে আপনি যা যা পুরন করলেন তার সম্পূর্ণটা আপনার সামনেই চলে আসছে।
  • আপনাদের জন্য নিচে দেখবেন ব্যাক টু প্রিভিয়াস নামক একটি অপশন রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানে ক্লিক করে আপনাদের যদি ফরম পূরণ করতে কোন রকম ভুল থেকে থাকে তাহলে সেটা সঠিক করে আবার পুনরায় এখানে ফিরে আসতে পারবেন।
  • যাই হোক, সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে দেখবেন নিচে দুইটা অপশনের উপরে আরও একটি অপশন রয়েছে যেখানে একটি খালিঘর রয়েছে সেই ঘরটি টিক মার্ক দিয়ে পূরণ করে নিবেন।
  • এরপর আপনাকে যে কাজ হবে সেটা হলো নিচে দেখবেন সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন আমাকে একটু অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে দিবেন।
  • এরপর আপনার কাছে পুনরায় আবার পুরো ফর্মটি চলে আসবে কিন্তু এবার শুধু ফর্ম নামের সাথে সাথে নিচে আরও একটু অপশন থাকবে যেটা হচ্ছে প্রিন্ট ডিটেলস নামক একটি অপশন। এবার আপনি চাইলে আপনি পর্যন্ত যা যা তথ্য দিলেন সেটা প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারবেন।
    কাজ শেষ হওয়ার পর সার্টিফিকেট
আর সাথে সাথে বাম পাশে একটি অপশন থাকবে সেটার নাম হচ্ছে ভিউ সার্টিফিকেট তো আপনারা চাইলে ভিউ সার্টিফিকেট অপশনে ক্লিক করে আপনার সার্টিফিকেটটি ঠিক আছে কিনা সেটা দেখে নিতে পারেন। এরপর নিচে তিনটা অপশন দেয়া থাকবে একটা হচ্ছে প্রিন্ট সার্টিফিকেট একটা হচ্ছে ভিউ সার্টিফিকেট আর একটা হচ্ছে সেভ সার্টিফিকেট তো আপনারা চাইলে সেভ সার্টিফিকেট নামক ওই অপশনে ক্লিক করে আপনার নিজের সার্টিফিকেটটি সেভ করে রাখতে পা্রেন।

এরপরে আপনারা প্রিন্ট করে নিতে পারেন আবার চাইলে আপনার ফোনে রেখেও দিতে পারেন তো এটাই হল আপনাদের টি্ন সার্টিফিকেট তৈরি করার যাবতীয় নিয়ম। এখন আপনারা চাইলে ঘরে বসে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে নিন সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তোবা এতগুলো ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে হাপিয়ে গেছেন। কিন্তু এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অন্য কারোর থেকে সাহায্য নিতে হয় নি। আপনারা চাইলে ঘরে বসেই এই কাজটি করতে পারছেন। আশা করি আমি আপনাদের কে সাহায্য করতে পেরেছি। এমনি আরও কাজ যেগুলো অনলাইনে ঘরে বসেই করা যায় সেগুলো জানতে হলে আমার ওয়েবসাইট টি কে ফলো করুন। তাহলে আজকের মতো এখানেই বিদাই নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url