ছেলেদের যে ৫ টি গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে অর্থাৎ মেয়ে পটানোর সহজ ট্রিকস

হ্যালো বন্ধুরা আপনাদের মাঝে অনেকেই হতাশায় থাকেন যে সবার গার্লফ্রেন্ড আছে আমার কেন নেই কেউ আমাকে পছন্দ করে না কেনআমার লাইফে মনে হয় ভালোবাসাই নেই। আর এই সিম্পল ব্যাপারটার জন্য অনেকে ডিপ্রেশনে চলে যায় সব কাজকর্ম ফেলে দিয়ে নিজের লাইফকে জেনে শুনে আরো খারাপের দিকে ঠেলে দিতে থাকে বাট চিন্তা নেই বন্ধুরা কারণ আপনাদের সাথে আছে আকাশ সিটি আপনাদের জীবনের এই সহজ সহজ সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি আর ভবিষ্যতেও থাকার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।


তো আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এমন পাঁচটি ট্রিক সম্পর্কে যেগুলো জানতে পারলে যেকোনো মেয়ের চোখেই আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন একজন স্পেশাল মানুষ। আর আপনার পাঁচটি নিয়ম খুব ভালো করে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনারা জেনে খুশি হবেন যে শুধু মেয়েরা নয় ছোট বড় ছেলেমেয়ে যারা আছে তাদের সবার চোখে আপনি একজন স্পেশাল পার্সোনালিটির মানুষ হবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের আমাদের এই আলোচনা ;

আপনাদের সবার সুবিধার্থে বলে দিই এই ট্রিক্স গুলো ছেলে মেয়ে সবার জন্যই প্রযোজ্য অর্থাৎ একজন মেয়ের যদি এগুলো ফলো করতে পারে তাহলে সেও হয়ে উঠবে সব ছেলেদের চোখে একজন স্পেশাল মানুষ। তো আপনিও যদি চান যে সবাই আপনাকে মন থেকে ভালবাসুক এবং গুরুত্ব দিক তাহলে আজকের এই পাঁচটি ট্রিকস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখুন ;

ছেলেদের যে গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে

নাম্বার ১ বিনা ভয়ে ভাব বিনি ভয়ে ভাব বিনিময় অর্থাৎ সবার সাথে সুন্দর করে কথা বলা ; সবার চোখে স্পেশাল মানুষ হতে হলে প্রথমে যে বিষয়টা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো ভাব বিনিময় করা অর্থাৎ যদি কারো প্রথমবার দেখা হয় তাহলে অবশ্যই বিনা ভয়ে তার সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। ঠিক যেমন হাই হ্যালো হাউ আর ইউ গুড মর্নিং এগুলো একদম নির্ভয় বলে ফেলুন। কারণ বিনা ভয় কারো সাথে ভাব বিনিময় করাটা একজন স্মার্ট মানুষের লক্ষণ। আচরণ আপনার ব্যক্তিত্বকে আরো সুন্দর করে এবং আপনার ভদ্রতাকে সবার সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করে।

আর হ্যাঁ যদি কোন অফিসিয়াল ব্যক্তির সাথে আপনি কথা বলতে চান তাহলে প্রথম দেখাতে তার সঙ্গে হাত মেলানোর অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। এতে করে আপনার ব্যাক্তি তো তার কাছে ফুটে উঠবে এবং আপনি তাদের কাছে একজন স্পেশাল পার্সোনালিটির মানুষ হয়ে উঠবেন। তবে যে শুধু অফিসের মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন এমনটা নয় পৃথিবীর সব মানুষের ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি প্রযোজ্য। তবে বিশেষ করে যদি কোন মহিলার সাথে হাত মেলাতে যান তাহলে সে অবশ্যই আপনার পরিচিত হতে হবে। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

আর সবচেয়ে মেইন কথা হলো আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার সাথে কথা বলার সময় অবশ্যই মুখে একটা মুচকি হাসি রাখবেন। এতে করে আপনার সামনে থাকা মানুষটা বুঝতে পারবে যে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যাতে করে আপনার ব্যক্তিত্ব তার কাছে আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।

তো আমি আপনাদের প্রথমে যে নিয়মটি বললাম সেটা যদি আপনারা ফলো করতে পারেন তাহলে আশেপাশের অর্ডিনারি মানুষগুলো থেকে আপনি আলাদা এবং স্মার্ট বলে বিবেচিত হবেন। কারণ আমরা সবাই জানি যারা স্মার্ট তারা কখনো কথা বলতে ভয় পায় না এবং সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারে। এই ধরনের মানুষকে শুধুমাত্র মেয়েরা কেন সবাই পছন্দ করে।

বাট তার মানে এই নয় স্যাড মোমেন্ট বা খারাপ সিচুয়েশনে অর্থাৎ ধরুন যদি কেউ মারা যায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি কারো সাথে কথা বলছেন তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যবহারটা পরিস্থিতি অনুযায়ী হতে হবে কারণ বুঝতেই পারছেন এমন অবস্থায় অবশ্যই মুখে মুচকি হাসি নিয়ে কথা বলা যাবে না বাকি আপনারা আমার থেকে বেশি বুদ্ধিমান আশা করি আপনারা বুঝে গেছেন আমি কি বলতে চাইছি।

ছেলেদের যে গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে

নাম্বার ২ আই কন্টাক্ট অর্থাৎ চোখে চোখ রেখে কথা বলা ; দেখা যায় যে আমরা কারো সাথে কথা বলছি আর বিপরীত পাশের মানুষটা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে তাহলে বিষয়টা আপনার কাছে কেমন লাগবে অবশ্যই ভালো লাগবে না এবং পরবর্তীতে আপনার আর ওই মানুষটার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করবে না আর এটাই খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়।

ঠিক এই কারণেই যখন কোন মেয়ে বা অন্য কেউ আপনার সাথে কথা বলবে তখন অবশ্যই তার চোখে চোখ রেখে তার কথাগুলো ভালোমতো শোনার চেষ্টা করুন ভালো এতে করে বিপরীত পাশের মানুষের মনে হবে যে আপনি তার কথার গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তার গুরুত্ব আছে আপনার কাছে।

কারণ যখন আপনি আপনার সামনে বসে থাকা মেয়েটির কথা ভালো মতো শুনবেন তখন ওই মেয়েটির মনে হবে তার কোন কথাগুলো আপনার কাছে অনেক মূল্যবান আর মেয়েরা সেই ছেলেকে পছন্দ করে যারা তাদেরকে গুরুত্ব দেয় এবং তাদের কথার গুরুত্ব দেয়। আর যখনই মেয়েটি বুঝে যাবে যে আপনার কাছে তার গুরুত্ব রয়েছে তখন আস্তে আস্তে সে তার জীবনের সব কথা আপনাকে বলতে শুরু করবে আর এভাবে আপনি তার কাছে একজন স্পেশাল মানুষ হয়ে উঠবেন।


এরপর আস্তে আস্তে কথা শুরু হবে তারপর দেখা হওয়া শুরু হবে এরপর দুজনের মধ্যে মায়া সৃষ্টি হবে আর তারপর কি হবে আপনারা বুঝতেই পারছেন। তো অবশ্যই এবার থেকে যার সাথে কথা বলবেন চোখে চোখ রেখে কথা বলার চেষ্টা করবেন। আর বিনা ভয় বিন্দাস কথা বলবেন না ভীতু ছেলেদের মেয়েরা একদম পছন্দ করে না।

আমি আপনাদের এতক্ষণ ধরে চোখে চোখ রেখে কথা বলার কথা কেন বললাম জানেন কারণ সব মেয়েরাই চায় তাদের কথা শোনার জন্য একজন ব্যক্তিগত এবং স্পেশাল মানুষ থাকুক যে মানুষটার তার বকবক আজাইরা প্যাচাল সবকিছু মন দিয়ে শুনবে। আর কখনোই বিরক্তি বোধ করবে না যদিও ছেলেদের জন্য বিষয়টা মেনে নেয়া একটু কষ্টকর তবে ভাই গার্লফ্রেন্ড পাইতে হলে একটু কষ্ট করতেই হবে তাই না।

আর একটা কথা আপনাদেরকে বলে দেওয়া ভালো সেটা হচ্ছে অবশ্যই যদি আপনি ধৈর্যশীল হন তবেই একজন মেয়ের সাথে আপনি থাকতে পারবেন আর তা না হলে আপনি পাগল হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। আর আমি আশা করছি আপনারা সবাই ধৈর্যশীল আর এই কারণেই আমার পোস্টটি এত মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন। তো সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি যে আপনার অবশ্যই পারবেন আপনাদের ও গার্লফ্রেন্ড হবে।

ছেলেদের যে গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে

নাম্বার ৩ লার্নিং ফরোয়ার্ড অর্থাৎ আপনার মানুষটিকে অ্যাটেনশন দিন ; আমি জানি আপনার অনেকে ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি সমস্যা নেই আমি ব্যাপারটা খুলে বলছি লার্নিং ফরওয়ার্ড বলতে আমি বুঝিয়েছি যখন আপনি আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে কথা বলবেন তখন হালকা একটু ঝুঁকে কথা বলার চেষ্টা করবেন অর্থাৎ ধরুন আপনি দাঁড়িয়ে আছেন আপনার মাথাটা হালকা ঝুকিয়ে তার দিকে সুন্দর দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার সাথে কথা বলুন।

এখন হয়তো আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে ভাই প্রেম তো শুরুই হলো না আর তার আগে যদি এসব করি তাহলে তো প্রেম শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে। আপনি কি ভাই আমাদের মার টার খাওয়াতে চান নাকি। আরে না ভাই আমি বলেছি হালকা একটু ঝুঁকে কথা বলুন বেশি ঝুঁকতে বলিনি বেশি ঝুঁকলে পিটুনি আপনি খাবেন এটা তো সত্যি কথা।

আমি বলেছি একটু রোমান্টিকভাবে সুন্দর করে স্টাইলিস্টলি দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলতে। এতে করে আপনার সামনের মেয়েটা বুঝবে যে আপনি তার ওপর ইন্টারেস্টেন্ড অর্থাৎ মুখে না বলেই আপনি তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন। দেখুন ব্যাপারটা কত সহজ হয়ে গেল না। আশা করি এবার আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

আবারও আপনাদের সেফটির জন্য বলে দিচ্ছি যে সামান্য ঝুঁকে কথা বলতে বলেছি বেশি না কিন্তু আর যদি বেশি ঝুঁকে গায়ে পড়ে যান ভাই তাহলে আর আল্লাহ আপনাদের বাঁচাতে পারবে না জুতা পিঠা খেয়ে বাড়িতে ফিরবেন সাবধানতার জন্য আবার করে মনে করিয়ে দিলাম আশা করি মনে থাকবে এবার।

ছেলেদের যে গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে।

নাম্বার ৪ গিভ রিপ্লাই টু হার অর্থাৎ তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে সেগুলোর জবাব দিন ; আমি আপনাদেরকে প্রথমেই বলে দিয়েছি যেসব ছেলেরা মেয়েদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং তার চোখের দিকে তাকিয়ে সুন্দর করে সেই মেয়েটিকে অ্যাটেনশন দেয় তখন সেই মেয়েটি তার ব্যক্তিগত কথাগুলো তার মনের ভেতরে থাকার সব অনুভূতিগুলো সেই ছেলেটাকে বলতে পছন্দ করে। আপনারা যেমন তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন ঠিক তেমনি সে যদি কিছু জিজ্ঞেস করে সেটাও সাথে সাথে সুন্দর করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি তার কথাকে গুরুত্ব না দেন তাহলে একসময় গিয়ে দেখবেন সেও আপনার সাথে আর কোন কথা শেয়ার করছে না। অর্থাৎ আমি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি যে অবশ্যই আপনারা শুধুমাত্র রোবটের মত কথা শুনবেন না জবাবও দিবেন। যদিও আজকাল রোবট কথা বলতে শুরু করেছে। প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটেছে তাই না আর সেগুলো তো আমরা মানুষটাই তৈরি করছি তাহলে অবশ্যই আমাদেরও উন্নতি হওয়া দরকার। তো যেটা অবশ্যই শুধু রোবটের মতো না শুনে তার কথাগুলোর সুন্দরভাবে উত্তর দিন।

একটা মেয়ে সবসময় চায় যে তার না বলা কথাগুলো তার সঙ্গী আগে থেকেই বুঝে ফেলুক যদিও এগুলো। প্রথম প্রথম ছেলেদের কাছে অনেক কঠিন বিষয় বলে মনে হয় কিন্তু আস্তে আস্তে যখন আপনি মেয়েটাকে চিনবেন তার কথাগুলো শুনতে শুরু করবেন তার সম্পর্কে জানতে শুরু করবেন তার সাথে থাকতে শুরু করবেন, তখন আপনি বুঝে যাবেন যে মেয়েটা কি চাইছে আর এরকম ধরনের ছেলেদেরকেই মেয়েরা পছন্দ করে।


অনেক ছেলে আছে যারা গার্লফ্রেন্ডকে শুধুমাত্র গিফট দিয়ে যায় কিন্তু তাদেরকে সময় দেয় না তাদের কথা শোনে না তাদের মন খারাপের সময় তাদেরকে প্যাম্পার করে না। প্যাম্পার বলতে যখন আপনার গার্লফ্রেন্ডের মন খারাপ হবে তখন অবশ্যই আপনার চেষ্টা করতে হবে তার মনটা ভালো করার আর যখন আপনি তার মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন তখন সেই মেয়েটা আপনার প্রতি একটা বিশ্বাস খুজে পাবে , যে আপনি তাকে যে কোন মুহূর্তে হাসি খুশি রাখতে পারবেন।

তো অবশ্যই এখন থেকে আপনার গার্লফ্রেন্ড হোক বান্ধবী হোক যাতে আপনি পটাতে চাইছেন তার চোখে চোখ রেখে তার কথাগুলোর উত্তর দিন এবং সুন্দরভাবে তার সাথে আই কন্টাক্ট বজায় রেখে কথা বলুন। আর আপনি যত কথা বলবেন তত মেয়েটা আপনার সাথে ফ্রি হতে থাকবে এবং আপনার সম্পর্কটা আস্তে আস্তে সুন্দর হয়ে উঠবে।

আর পরবর্তীতে গিয়ে মনে হয়ে গেল যে আপনি আপনার পছন্দ মত একজন সঙ্গী পেয়ে গেলেন তাই না। তো যেগুলো বললাম অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনাদেরও সিঙ্গেল থেকে মিঙ্গেল হওয়ার একটা সুযোগ থাকবে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

ছেলেদের যে গুণ এবং অভ্যাস মেয়েরা খুব পছন্দ করে

নাম্বার ৫ Kill Your Ego অর্থাৎ আপনার ভেতরে থাকা অহংকারকে মেরে ফেলুন ; যখন আমরা কারো সাথে কথা বলি তখন একটু কিছু হলেই আমরা সবকিছু ভুলে আমাদের ব্যক্তিত্ব ও ইগো নিয়ে পড়ে যাই ইগো বলতে কি বুঝিয়েছি সেটা আপনারা প্রায় সবাই জানেন তো বেশি কিছু বলব না। তবে আমি কিছু শব্দ দ্বারা আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যেমন ; যখন আমরা আমি আমার এসব শব্দ ব্যবহার করে থাকি তখন এসব শব্দের মধ্যে প্রকাশ পায় আমাদের অহংকার। কিন্তু একটা সম্পর্কের মধ্যে আসলে কি অহংকারের কোন জায়গা আছে ? না নেই কারণ অহংকার পতনের মূল সেটা মানুষ হোক বা সম্পর্ক দুইটারই পতন ঘটায়।

আমি ব্যাপারটা আপনাদের কাছে একটু খুলে বলছি আপনাদের মধ্যে অনেকেই দেখবেন যে নিজেকে নিয়ে একটু বেশি বড়াই করছে যেমন ; আমি এটা করেছি আমি ওটা করেছি আমি এটা করতে পারি আমি ওটা করতে পারি আমি অনেক বড় চাকরি করি আমি অনেক টাকা বেতন পাই আমার বাবার এত টাকা আছে আমার না গার্লফ্রেন্ড আছে আরে থাম আমি এটা ভালো জানি আমার অনেক গাড়ি বাড়ি আছে।

এইসব কথাগুলি হচ্ছে আমাদের ইগো থেকে বলা কথা অর্থাৎ এগুলো আমাদের অহংকারকে অন্যদের সামনে তুলে ধরে। যা কখনোই আমাদেরকে অন্যদের সামনে একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত করে না বরং তারা আমাদেরকে অহংকারী ছোটলোক ভাবে। তারা ভাবে আছে তো আছে এত বলার কি আছে ভাই ! অর্থাৎ অনেকেই চায় নিজেদের কি আছে না আছে এগুলো অন্যদের সামনে বলে নিজেকে বড় দেখাতে। কিন্তু আপনারাই বলুন এরকম ব্যবহার করলে কি কেউ কারো সামনে বড় হতে পারে অবশ্যই না।

এছাড়াও ইগর আরো কিছু প্রতিক রয়েছে যেমন ধরুন কেউ বলল ;

  • আমার লাখ টাকা ডুবে গেছে।
  • আমার দ্বারা কিছুই হবে না
  • এসব প্রেম-টেম আমাকে দিয়ে হবে না
  • আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে
  • লাইফে আমি কিচ্ছু করতে পারবো না
এরকম ধরনের যে ডাউন মার্কা কথাবার্তাগুলো রয়েছে সেগুলোতেও কিন্তু আমাদের ইগোটা প্রকাশ পায়। অর্থাৎ যে ধরনের কথাতে আমি আমার এই শব্দগুলো রয়েছে সেখানে আপনার অহংকার প্রকাশ পাচ্ছে।

অর্থাৎ আপনার এতক্ষণ বুঝেই গেছেন যে আমি কি বলতে চাচ্ছি কখনো কোন মেয়ের সাথে কথা বলার সময় এই ধরনের কথা বলবেন না যে আমার এটা আছে আমার ওটা আছে আমি এটা পারি আমি ওটা পারি আরে ভাই তোমার সাথে থাকতে থাকতে সে একাই জেনে যাবে যে তোমার কি আছে কি নেই। অর্থাৎ তাকে নিজে থেকে বলার দরকার নেই এটা করে তোমার ইম্প্রেশন তার কাছে খারাপ হবে।
বরং তুমি তার থেকে জানার চেষ্টা করবে যে ;

  • তার কি কি পছন্দ ?
  • সে কি খেতে পছন্দ করে ?
  • সে কোথায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করে ?
  • কোন জিনিসগুলো তার খারাপ লাগে ?
এগুলো বোঝার চেষ্টা করো এগুলো যদি তুমি করতে পারো তাহলে সেই মেয়েটার কাছাকাছি যাওয়া তোমার কাছে খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না। মেয়েটার কাছে তুমি আস্তে আস্তে অনেক স্পেশাল হতে থাকবে যেটা তোমাকে একটা নতুন সঙ্গী পেতে সাহায্য করবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনারা যে আমি কি বলতে চাইছি।

লেখকের মন্তব্য

এতক্ষণ আমি আপনাদের সাথে যা যা কথা বললাম সেগুলো যদি আপনারা সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন এবং এই চারিত্রিক গুণগুলো নিজেদের মধ্যে আনতে পারেন তাহলে যে কোন মেয়ে আপনার ওপর ফিদা হতে বাধ্য এবং দিনশেষে আপনিও হয়ে যেতে পারেন বাকিদের মতো মিঙ্গেল যাই হোক ততক্ষণ চেষ্টা করতে থাকুন হাল ছাড়বেন না আর আমি তো আছি আপনাদের এরকম নতুন নতুন ট্রিক্স জানাতেই থাকবো ততক্ষণ আকাশ সিটির সঙ্গেই থাকুন আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url