পড়াশোনায় মন বসানোর ৬ টি সহজ উপায়

জেনে নিন প্রতিদিন চা খাওয়ার ফলে কি ক্ষতি হচ্ছে আপনারপড়াশোনা করতে প্রায় আমাদের কারোই তেমন একটা ভালো লাগে না তবুও কেউ পড়াশোনা করে পরিবারের চাপে পড়ে আবার কেউ পড়াশোনা করে বাধ্য হয়ে কারণ বড় হয়ে তার একটা বড় চাকরি করতে হবে বিয়ে করতে হবে সংসার চালাতে হবে। বিশেষ করে এই ধরনের প্রেশার ছেলেদের উপরে থাকে। আর তাই ছেলেদের উপরে মানসিক চাপটাও অনেক বেশি পরিমাণে পড়ে থাকে। আর দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই হলো পড়াশোনার ব্যাপারে সব থেকে বেশি অধৈর্যশীল হয় ছেলেরা।


যাইহোক আমি আজকে শুধু ছেলেদের না ছেলে মেয়ে সবাই যারা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তারা কিভাবে তাদের পড়াশোনায় যথাযথভাবে মনোযোগ দিতে পারে সে বিষয়ে কয়েকটি ইন্টারেস্টিং উপায় বলে দিব। যেগুলো ফলো করলে বা অনুসরণ করলে যে কোন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনায় ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবে তাহলে চলুন আর দেরি না করেকরে শুরু করা যাক ;

অনেক পরে জমা হয়ে গেছে আজকে সব পড়ে শেষ করে দিব গত দিনগুলোতে যে পড়া গুলো শেষ হয়নি আজকে সবগুলো একসাথে শেষ করব। এরকম বলে পড়তে বসার পর কিছুক্ষণ পর অন্য কোন কাজ নিয়ে ভাবা বা অন্য কিছু করতে উঠে পড়া বা কিছুক্ষণ করতে করতে ধুর বাজার করতে ভালো লাগছেনা কালকে আবার পড়বো বিরক্ত হয়ে গেলাম। দেখিতো ফেসবুকে কেউ মেসেজ দিলো নাকি আর তারপরে ফোনটা হাতে নেয়ার পরেই সব বাতেলাবাজি একদম শেষ। অর্থাৎ সে পড়তে বসার আগে যা যা বলেছিল সব ভুলে এখন ফেসবুক টিপতে শুরু করে দিল। এতে করে তার জমে থাকা পড়া আরো বেশি জমা হয়ে গেল।

এভাবেই দিনের পর দিন চলে যায় আর পড়াগুলো সব অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে থাকে। আর বছর শেষে যখন পরীক্ষা হয় তখন আর কোন পড়াই পড়ে শেষ করা সম্ভব নয়। যার ফলে ফলাফল অনেক খারাপ আসে আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনেক ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। আর ভাবতে থাকে ইস যদি সারা বছর মন দিয়ে পড়তাম যদি প্রতিদিন একটা ঘন্টা ঠিকমতো পড়তাম তাহলে আর আজকে আমার রেজাল্ট এত খারাপ হতো না। এত মন খারাপ করে আমাকে আর বসে থাকতে হতো না আমিও সবার সাথে হইহুল্লোড় করতে পারতাম।

এসব ভাবতে ভাবতেই একটা স্টুডেন্ট অনেক হতাশায় পড়ে যায় আর ভাবে আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না আমার দ্বারা পড়াশোনা হবে না আমি কিছুই করতে পারব না জীবনে। তো এরকম কিছু স্টুডেন্টদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আমি কিছু সহজ টিপস সবাইকে দিতে চাই যেগুলো ফলো করলে আপনারাও পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন। তো প্লিজ একটু কষ্ট করে নিচের দিকে দেখুন ;

নাম্বার ১ পড়াশোনা কেন জরুরী সেটা জানুন

পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; এখন হয়তো আপনি পড়াশোনা বা কেন জরুরী ভবিষ্যতে যাতে ভালো একটা চাকরি করতে পারি সেজন্যই পড়াশোনা করতে হয়। হ্যাঁ আপনার একদম ঠিক ভেবেছেন। আপনি যাতে ভবিষ্যতে একটা ভালো লাইফ লিড করতে পারেন সেজন্য পড়াশোনা করাটা অত্যন্ত জরুরি।


তো যেহেতু আপনারা সবাই জানেন যে পড়াশোনা কেন করতে হবে তো আপনাদের জন্য আমার একটা সহজ টিপস হলো হাতে একটি কাগজ নিন এবং সেখানে লিখে ফেলুন ;
  • পড়াশোনা কেন করতে হবে ?
  • পড়াশোনা করার উপকারিতা কি ?
  • পড়াশোনা করলে আমি ভবিষ্যতে কি কি করতে পারবো ? 
  • পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে আমার কি কি শখের জিনিস বা স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো ?
এগুলো একটি পেপারে লিখে সেটা আপনার পড়ার টেবিলের সামনে টানিয়ে দিন এতে করে যখন পড়তে বসবেন তখন আপনার মাথায় থাকবে যে কেন আপনি পড়তে বসেছেন আর আপনি যদি না পড়েন তাহলে আপনার কি কি ক্ষতি হবে যার কারণে আপনার পড়তে ইচ্ছা করবে।

গবেষণা থেকে জানা গেছে যারা পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক অর্থাৎ পড়াশোনার মন বসাতে চায় কিন্তু বেশিক্ষণ মনোযোগ থাকে না তাদের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলা উচিত অর্থাৎ তাদের কম করে হলেও ৩০ দিনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করে জীবন যাপন করা উচিত তারা যদি পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট একটি টাইম এবং সেই টাইম তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে অর্থাৎ এই ৩০ দিন তারা যদি নিয়ম মত সঠিক সময়ে পড়তে বসতে পারে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারে তাহলে তাদের একটি রুটিনের মধ্যে চলাফেরা করার অভ্যাস হয়ে যাবে।

যার কারণে পরবর্তীতে যখন এক মাস হয়ে যাবে তারপরেও তারা এই রুটিন মেনে চলতে পারবে । আর যদি নিয়ম করে প্রতিদিন এভাবে পড়াশোনা করা যায় তাহলে আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনার সারা বছরের পড়া কত সহজ আপনি শেষ করে ফেলেছেন এবং বছর শেষে যখন আপনার পরীক্ষার সময় চলে আসবে তখন আপনার থেকে সেলফ কনফিডেন্ট আর কেউ হবে না।

আর তখন আপনার রেজাল্ট সবার থেকে ভালো হতে বাধ্য তাহলে আজকে একটি ৩০ দিনের রুটিন বানিয়ে ফেলুন আর আরেকটি কাগজে লিখে ফেলুন যে পড়াশোনা কেন করবেন কি কি কারনে করবেন আর কি কি কারণে পড়াশোনা করার জরুরী এগুলো আপনার চোখের সামনে থাকলে আপনার মোটিভেশন স্ট্রং হবে এবং আপনি আপনার বানানোর রুটিন মেনে চলতে সক্ষম হবেন তাহলে আর দেরি কিসের রুটিন বানিয়ে ফেলুন।

নাম্বার ২ পড়াশোনার জন্য সঠিক জায়গা পছন্দ করুন

  • পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; ছাত্র-ছাত্রী দেখা যায় টেবিল চেয়ার ছেড়ে বিছানায় পড়াশোনা করতে বেশি পছন্দ করে আমিও একসময় বিছানায় শুয়ে থেকে পড়াশোনা করতে পছন্দ করতাম তবে সেখানে পড়াশোনা কম গড়াগড়ি বেশি হতো অর্থাৎ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরেই চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসতো কেমন যেন একটা ঝিমানো ভাব চলে আসে তাই না !


  • তাহলে আপনারাই বলুন ঘুমানোর জায়গায় কি পড়াশোনা করা সম্ভব অবশ্যই না। তাই আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করব যে কখনোই বিছানায় পড়াশোনা করবেন না পড়াশোনা করার জন্য সুন্দর একটি জায়গা নির্বাচন করে চেয়ার টেবিল বসিয়ে সেখানে বসে পড়াশোনা করুন।
  • এতে করে আপনার মনোযোগ বাড়বে আপনার ঘুম কম পাবে এবং আপনি অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে বিছানা ত্যাগ করুন আর করার সাথে শুরু করে দিন সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে না হলে কিন্তু পরে পস্তাতে হবে। যাইহোক এটাকেও দ্বিতীয় নাম্বার টিপস।

নাম্বার ৩ পড়াশোনা করুন কিন্তু স্মার্ট ভাবে

পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; এখন হয়তো আপনারা ভাবছেন স্মার্টভাবে আবার কিভাবে পড়াশোনা করব পড়াশোনা করতে কি সেজেগুজে বসবো নাকি অবশ্যই না আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে পড়াশোনা কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে করলে সেই পড়া রুচিসম্পন্ন হয় না হঠাৎ করে একটা একঘেয়েমি চলে আসে যার কারণে আমরা পরবর্তীতে আর পড়তে বসতেই চাই না।

এই কারণে আমার কাছে একটা সহজ উপায় রয়েছে আপনার প্রথম ৩০ মিনিট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন তারপরে চেয়ারের উপর বসেই একদম ঠান্ডা মাথায় চোখ বন্ধ করে 15 মিনিট একটি পাওয়ার ন্যাপ নিন তবে ঘুমিয়ে যাবেন না মাথায় রাখবেন যে ১৫ মিনিট পরে চোখ খুলে আপনাকে নতুন একটা টপিক করতে হবে আসলে শুধু পড়তেই হবে না শেষ করতে হবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা সেটা হলো পড়াশোনা করার জন্য নিশ্চিত মানসিকতা হওয়া খুব দরকার।



অর্থাৎ মাথায় ধরেন অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা চলছে গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া হয়েছে বা পারিবারিক অশান্তি চলছে এমন সময় পড়তে বসবেন না মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করবেন ধৈর্য ধরবেন আস্তে আস্তে যখন আপনার মানসিকতা শান্ত হবে তখন ঠান্ডা মাথায় হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসুন আর তাছাড়া যদি আপনি রাগের মাথায় বা দুশ্চিন্তা নিয়ে পড়তে বসেন তাহলে আপনি তিন ঘন্টা ধরে বসে থাকলেও 15 মিনিটের পড়া শেষ করতে পারবেন না আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

আর একটা ইন্টারেস্টিং টিপস যেটা আমি আপনাদেরকে বলবো সেটা হল অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আধাঘন্টা করার পরে যখন টপিকটা মুখস্ত হয়ে যায় তখন তারা মনে করে যে এটা তো হয়ে গেছে এটা এখন রেখে দিই কিন্তু এটা আমাদের সবথেকে বড় ভুল শুধু পড়ে রেখে দিলেই হবে না আমাদের সেটা লেখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

আর সাথে সাথে পড়া যখন শেষ হয়ে যাবে তখন চোখ বন্ধ করে ঠান্ডা মাথায় সেগুলো আমাদের মনে মনে ভাবতে হবে এবং বলতে হবে আর যখন দেখা যাবে যে একদম সম্পূর্ণ আপনারা সেই বিষয়টা নিয়ে কনফিডেন্ট যে আমার হয়ে গেছে তখন একবার জোরে জোরে সেটা মুখস্থ বলে ফেলুন দেখবেন আপনার কনফিডেন্স লেভেল কত হাই হয়ে যাবে। আশা করি এবার বুঝতে পেরে অসুবিধা নেই।

নাম্বার ৪ পড়াশোনার সময় ফোন বা অন্য গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন

  • পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; পড়াশোনায় আমাদের মনোযোগ নষ্ট করার জন্য শুধুমাত্র একটা ফোন নামক গ্যাজেট যথেষ্ট কারণ এই আমারে হাজারো চিন্তাভাবনা এই ফোনের মধ্যে থাকে কারোর মাথায় আসে আমার গার্লফ্রেন্ড মেসেজ দিল না তো আজকে তো ঝগড়া হয়েছিল কি যে লিখছে আল্লাই জানে দেখিতো কি মেসেজ আসলো আজকে মনে হয় আমার ব্রেকআপ হওয়া আর কেউ আটকাতে পারবে না।


  • এইসব চিন্তা ভাবনা শুধুমাত্র আমাদের হাতে থাকা ফোনটির কারণে এসে থাকে যদি আপনি চান বছর শেষে আপনার একটা ভালো ফলাফল হোক তাহলে আপনি এই ধরনের চিন্তা ভাবনা বিশেষ করে ফোন কে এত প্রাধান্য দেওয়া আর ফোনের ভেতরে থাকা আরেকজন মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া এগুলো বন্ধ করুন।
  • আর তা না হলে বছর শেষে আপনার রেজাল্টও যাবে আর যার জন্য আপনি পড়াশোনা করেননি সেও আপনাকে বলবে যে রেজাল্ট খারাপ করছে তোমার সাথে রিলেশন রাখবো না অর্থাৎ আম ও যাবে আর ছালাও যাবে অর্থাৎ যদি দুইটাই বজায় রাখতে চান তাহলে আজকে থেকেই পড়াশোনা শুরু করুন।

নাম্বার ৫ আত্মবিশ্বাস রাখুন এবং অযথা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন

পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অল্পতেই অনেক দুশ্চিন্তা করে আর ভেবে নাই যে আমাকে দ্বারা কিচ্ছু হবে না আমি কিছুই করতে পারব না জীবনে এতগুলো বছর পার হয়ে গেল কি করলাম সবাই এত উপরে উঠে গেল আরে ভাই আপনি অন্যদের উপরে ওঠা নিয়ে কেন ভাববেন আপনি আপনার কোথায় ঘাটতি রয়েছে কি কারনে আপনি সেই জায়গায় নেই আর সেই ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করুন।

দুশ্চিন্তা করে কোন কিছু সমাধান কখনোই হয় না আর না রাগারাগি করে হয় আমরা রাগারাগি করে সব সময় ভুল সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকি এজন্য সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখুন নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বরা বলে গেছেন যারা নিজের উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করে যায় তাদের সফলতা কেউ আটকাতে পারে না আপনি যখন একটা বড় কিছু করতে শুরু করবেন চারিদিকে মানুষ আপনাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামাতে চাইবে।



কারণ পৃথিবী বড় স্বার্থপর আপনি যখন ভালো কিছু করতে চাইবেন তখন সেটা মানুষের কাছে একদই ভালো লাগবেনা কারণ ওই যে একই রোগ আপনি যেমন ভাবছেন ওরা এত উপরে উঠে গেল আমি কিছুই করতে পারলাম না ঠিক তেমনি বাকীরাও ভাবে যে আপনি কেন উপরে উঠবেন। আমি পারি নাই তাই ওকে ওপরে উঠতে দেয়া যাবে না। এটাই দুনিয়ার নিয়ম তাই দুনিয়ার মানুষ কি বলল না বলল সেদিকে আপনার কান দিতে হবে না। আজাইয়া দুশ্চিন্তা ছেড়ে যেটা সমস্যা সেটা নিয়ে ভাবুন আর কোথায় ঘাটতি রয়েছে সেটা পূরণ করার চেষ্টা করুন।

তাহলে দেখবেন আর দুশ্চিন্তে কাজ করছে না আমরা দুশ্চিন্ত তখনই করি তখন আমরা সমস্যার সমাধান না করে সমস্যার কথা ভেবে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। কিন্তু আমরা যদি চেষ্টা না করি তাহলে কি বসে বসে সমস্যার সমাধান হবে অবশ্যই না তাই উঠুন হাত-পা ঝারুন আর আত্মবিশ্বাসের সাথে টেবিলে পড়াশোনা শুরু করে দিন ভালো রেজাল্ট হবেই হবে। একটা কথা মনে রাখবেন মানুষ পড়াশুনা বানিয়েছে পড়াশোনার মানুষকে বানায়নি তাই ওর কাছে হার মানার কিছু নাই। So be confident ok

নাম্বার ৬ সঠিক সময়ে ঘুমান এবং ফ্রেশ মাইন্ডে পড়তে বসুন

  • পড়াশোনায় মন বসানোর সহজ উপায় ; পড়াশোনা মনে রাখার জন্য বা মুখস্ত করার জন্য ফ্রেশ মাইন্ড থাকা খুব জরুরী আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের মানসিকতা অর্থাৎ মাথা একদম শান্ত থাকে আর ঠিক তখন যদি আমরা পড়তে বসি দেখবেন পড়াটা খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ হচ্ছে। বা যদি বোঝার মতো কোনো করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই পড়া বুঝতে পারছেন অর্থাৎ যখন ব্রেন শান্ত থাকে তখন আমাদের যে কোন পড়া রেডি করতে খুব সুবিধা হয় তাই যখন আপনার ব্রেন শান্ত থাকবে তখনই পড়তে বসুন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন 6 থেকে 7 ঘন্টা ঘুম পারা আবশ্যক আর ঘুম পাড়ার জন্য রাত ১১ঃ০০ টা থেকে সকাল সাতটা সবথেকে উত্তম সময়। কিন্তু আমরা বর্তমান জেনারেশনে ঘুমায় সকালে আর ঘুম থেকে ওঠে দুপুরে যদি আপনারও এরকম বদভ্যাস থেকে থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা পরিবর্তন করে ফেলুন।

এতে করে আপনার পড়াশোনা খুব ভালো হবে আর সাথে সাথে আপনার শরীর স্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকবে আর তার থেকেও খুশির সংবাদ হলো আপনার চেহারা অনেক সুন্দর হয়ে যাবে যদি আপনি সঠিক সময় ঘুমাতে পারেন আর ভোঁর ভোঁর উঠতে পা্রেন। আশা করি আপনাদের বুঝতে আর কোন অসুবিধা নেই।

লেখকের মন্তব্য

আমরা সবাই চাই পড়াশোনা করে একটা ভালো চাকরি করে বড়লোকের মতো জীবন যাপন করতে কিন্তু কয়জন সেই কষ্টটা মেনে নিতে পারি। সবাই মনে রাখবেন যদি জীবনে সফল হতে চান তার দাম আপনাকে দিতে হবে। অনেক কিছু জীবনে স্যাক্রিফাইস করতে হবে অনেক সময় মনের মানুষটাকেও সেক্রিফাইস করতে হতে পারে। স্যাক্রিফাইস পারে তাদের জীবনে সফলতা আসে। তা জীবনকে সফল করার জন্য সঠিক সময় পড়তে বসুন আর আমি যে নিয়মগুলো বললাম সেগুলো যদি আপনারা নিয়মিত মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের পড়াশোনায় মন বসতে বাধ্য। তাহলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url