মোবাইল ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা

বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন এমন একটি ডিভাইস হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সেটা ছাড়া চলাচল করা এখন খুবি মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের কাছে যদি এখন একটা মোবাইল ফোন থাকে তাহলে ভেবে নিন যে দুনিয়া আপনার হাতের মধ্যে। তবে আপনারা হয়তো সবাই জানেন মোবাইল ফোনের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে নানান ধরনের অসুবিধা। বর্তমান যুগে মানুষ ফোনকে ভালো দিকে ব্যবহার করা থেকে খারাপ দেখেই বেশি ব্যবহার করে থাকে। আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে আমি আজকে কি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।


হ্যাঁ আপনারা ঠিকই ধরেছেন আজকে আমরা আলোচনা করব মোবাইল ফোনে ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে অর্থাৎ আপনারা মনে করতে পারেন যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি কিসের চলন শুরু করা যাক;

মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে সবাই খুব পছন্দ করে। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় মানুষ সবাই আজকাল ফোন ব্যবহার করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এদের মধ্যে কারণ হয়তো ফেসবুক দেখতে ভালো লাগে কারণ ইউটিউবে ভিডিও দেখতে ভালো লাগে আবার কারো বা গেম খেলতে ভালো লাগে এমনই সবার পছন্দের মধ্য দিয়ে মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিভাইস যা একদিন কাছে না থাকলে মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস কাছে নেই। এখন আমরা জানবো মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি তাহলে চলুন একটু কষ্ট করে দেখে নেয়া যাক;

মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা

মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে প্রায় সবাই পছন্দ করে। কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহারে রয়েছে নানান ধরনের সুবিধা এবং খুব সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যোগাযোগ করার সহজ মাধ্যম। কোন সাধারণত তৈরি করা হয়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য ধীরে ধীরে মোবাইল ফোন এমন একটি প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে এর মধ্যে আমরা পাচ্ছি বর্তমান সময়ের সব ধরনের তথ্য খোঁজখবর এমনকি অজানা অনেক কিছু। মোবাইল ফোন ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলো আমি নিচে আলোচনা করছি ;

  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ; মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই একজন আরেকজনের সাথে অনেক দূরে থাকার পরেও যোগাযোগ করতে পারি অর্থাৎ কথা বলতে পারি। বর্তমান যুগের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়ে গেছে যে আমরা শুধুমাত্র একজন আরেকজনের সাথে কথাই বলতে পারছি না বরং একজন আরেকজনকে দেখতে পর্যন্ত পাচ্ছি অর্থাৎ আগে শুধুমাত্র অডিও কলের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে কথা বলা যেত কিন্তু একজন আরেকজনকে দেখতে পেত না কিন্তু বর্তমান যুগে আমরা খুব সহজেই ভিডিও কলের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে দেখতে পারি এবং কথা বলতে পারি বিষয়টা খুবই সুন্দর তাই না।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ; এতক্ষণ ধরে যেটা বললাম সেটা ছিল কিভাবে আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মাইল দূরে থাকার পরেও একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারি কথা বলতে পারি দেখতে পারি এবার যে সুবিধার কথা বলব সেটা হচ্ছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারি অর্থাৎ যেকোন তথ্য বর্তমানে গুগুল নামক একটি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। সেখানে যেকোনো প্রশ্ন করার সাথে সাথেই আমরা উত্তর পেয়ে যাই। এটা কি মজাদার তাই না। মানে আমরা যে কোন প্রশ্ন করছি আর তার উত্তর দিয়ে দিচ্ছে গুগল এমন সুযোগ কোথায় পাওয়া যাবে বলুন তাই এটাকে সবথেকে উন্নত ওয়েবসাইট বলা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি চায় তাহলে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে তারা তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারে এতে করে তাদের সাধারণ জ্ঞান অনেকটা উন্নত হবে। আর আপনারা হয়তো সবাই জানেন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড সেখানে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা এত সুন্দর একটি সুযোগ পায় যেখান থেকে তারা সবকিছু জানতে পারছে তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশের উন্নতি হতে খুব একটা দেরি নেই।

  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ; সবসময় একই কাজ করতে করতে আমরা অনেক সময় বিরক্ত বোধ করি। এমন দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেকে রয়েছে যারা প্রতিদিন অফিস থেকে আসে আর বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু বর্তমান সময় বিনোদনের জন্য রয়েছে ফেসবুকে ইউটিউবে এমনকি আরো অনেক সাইটের হাজারো বিনোদনমূলক ভিডিও যেগুলো দেখলে মন আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় তাই আপনারা হয়তো বুঝে গেছেন যে ফোন বিনোদনমূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ; বর্তমান মোবাইল ফোন ব্যবহারের সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিজের লুকানো ট্যালেন্ট সবার সামনে তুলে ধরা অর্থাৎ বর্তমান সময়ে নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে অনেক যুবক যুবতী রয়েছে যারা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করছে বিষয়টা খুবই অদ্ভুত তাই না আগের যুগের বাইরে গিয়ে গায়ে ঘেঁটে কঠোর পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করতে হতো কিন্তু বর্তমান যুগে আপনার যদি কোন লুকানো সেটা সবাইকে দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা ; বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পড়তে গিয়ে বা লিখতে গিয়ে নানান ধরনের দ্বিধায় পড়ে। সেই সময়ে সহযোগিতা করে একমাত্র অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা। অর্থাৎ বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব অর্থাৎ আপনাদেরকে আগেই বলেছি বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে প্রশ্ন করার মাত্রই সাথে সাথে উত্তর চলে আসে। অর্থাৎ যে প্রশ্নের সমাধান এখন আপনার হাতের মুঠোয়। এজন্যই তো বলা হয় জগত এখন হাতের মধ্যে।

যাইহোক এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে সবকিছুর যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে অপকারিতা অর্থাৎ ক্ষতিকর দিক সময়ের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে যুগ এবং মানুষের জীবনধারা। আর তার সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে ইয়াং জেনারেশনের মানসিকতা অর্থাৎ তারা এখন ভালো দিকের থেকে খারাপ দিকে বেশি ধাবিত হচ্ছে। মোবাইল ফোনের ভালো ব্যবহার না করে তারা এখন খারাপ ব্যবহার করছে বেশি এখন কি কি খারাপ ব্যবহার করছে সেটা আপনারা সবাই জানেন তবুও আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমি একটু বিষয়টা বিস্তারিত আলোচনা করব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোন ক্ষতিকর দিকগুলো এবং অপকারিতা।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা

মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে বর্তমান যুগের অনেক যুবক-যুবতীরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাদের চরিত্র ভালোর থেকে খারাপের দিকে বেশি দিকে চলে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসে প্রেম-ভালোবাসা এবং রিলেশন খুবই কমন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তার থেকেও কমন ব্যাপার কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রেম করে সেক্স করা আর সেক্স করার পরে প্রেমিক প্রেমিকার বিচ্ছেদ। এছাড়াও নানা ধরনের অনলাইন হতে অর্থাৎ সাইবার ক্রাইম তো রয়েছেই।

বর্তমান সময়ে এসে এমন অনেক বাজে ছেলে রয়েছে যারা প্রেমের নাম করে একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তার খারাপ দৃশ্যগুলো নিজের ফোনে ক্যাপচার করে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে। এক পর্যায়ে গিয়ে তাদের থেকে হুমকি দিয়ে টাকা নেয়া শুরু করে। এরকমই আরো কিছু খারাপ ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জানতে পারলে আপনারা হয়তো ভবিষ্যৎ জীবনে বা বর্তমান সময়ে সতর্ক হতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে দেরি না করে বিষয়গুলো একটু খুলে বলা যাক;

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা ; মোবাইল ফোন ব্যবহারের শুরুর দিকে এটাকে শুধুমাত্র ভালোর দিকে ব্যবহার করা হতো। অর্থাৎ যেমন কোন শব্দের অর্থ যদি আমরা না জানি তাহলে খুব সহজে মোবাইল ফোনের ভেতরে থাকা ডিকশনারি অ্যাপ ব্যবহার করে আমরা সেই শব্দের অর্থ জানতে পারতাম। প্রথম মোবাইল ফোন শুধুমাত্র এসব কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে মোবাইল ফোনের অন্যতম একটি ব্যবহার হচ্ছে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম স্ন্যাপচ্যাট এসব অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো শহরের যে কোন দেশের মানুষের সাথে কথা বলা ।

বর্তমান সময়ে প্রেম করা বিনোদন হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ অনলাইন জগতে সবথেকে খারাপ একটি অপকারিতা হচ্ছে বা ক্ষতিকর দিক হচ্ছে যে কোন ছেলে বা মেয়ের সাথে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করা যেটা করার পরে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়া। এক কথায় বললে কারো ভালোবাসা সুযোগ নিয়ে তাকে ব্যবহার করা। তাই অবশ্যই অনলাইন জগতে কারো সাথে পরিচয় হলে নিজের ছবি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন আর ব্যক্তিগত আর নুড ছবি তো একদমই দিবেন না। এরকম করলে ভেবে নিবেন আপনি আপনার মৃত্যুকে ডেকে নিচ্ছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা ; বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে উপকারী থেকে অপকার বেশি হচ্ছে অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে সাইবার ক্রাইম অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আপনার ফোনে আপনার নিজের ছবি রাখা সুরক্ষিত নয়। অর্থাৎ আপনার যেকোনো একটি অনলাইন তথ্য যদি অন্য একজন জেনে যায় তাহলে তার মাধ্যমে আপনার পুরো ফোন হ্যাক করে নেয়া সম্ভব আর একবার যদি ফোন হ্যাক হয়ে যায় তাহলে তো বুঝতেই পারছেন কি হতে পারে। এক কথা বলতে গেলে একজন মানুষের ফোনের ভেতর তার যাবতীয় সব ব্যক্তিগত তথ্য থাকে আর সেটা যদি অন্য একজনের হাতে লেগে যায় তাহলে আপনার ও একদম লেগে যাবে। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা ; অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের স্মৃতিশক্তি অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও এমন অনেকে রয়েছে যারা সারারাত না ঘুমিয়ে ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের জন্য একটা কথা বলে দিই ভবিষ্যতে আপনার চোখ আর কান এবং আপনার ব্রেন সবকিছুর একসাথে বারোটা বাজবে অবশ্যই যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে ফোন ব্যবহার করে থাকেন সেটার পরিমাণ কমিয়ে দিন। অর্থাৎ যতটুকু ব্যবহার না করলেই নয় ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করুন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা ; বর্তমান সময়ে রাত জাগা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাৎ মানুষ দিনে ঘুম পারে আর রাতে সারা রাত ধরে ফোন টিপে আপনারা কি ভাবছেন এটা আপনাদের খুব উপকার হচ্ছে একদমই নয় । একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য রাতের বেলা সর্বোচ্চ পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন কম করে হলেও ৮ ঘন্টা। কিন্তু আমরা সারা রাত জেগে দুপুর পর্যন্ত ঘুম পারি । এটা যেমন আমাদের শরীরের ক্ষতি করছে  ঠিক তেমনি মানসিকভাবে আমাদের করে দিচ্ছে অনেক দুর্বল।

দেখবেন যারা অতিরিক্ত পরিমাণে রাত জাগে তাদের পড়াশোনাতে মন বসে না কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা অল্পতেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এগুলোর একটাই কারণ মানসিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অর্থাৎ আপনার ব্রেন শান্ত নেই। আর ওকে শান্ত করতে হলে পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন যেটা আমরা কেউ করি না তাই অবশ্যই যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে ফোন ত্যাগ করুন বিশেষ করে রাতের বেলা। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস করুন এতে করে আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার অনেক উন্নতি হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা ; বর্তমান সময়ে বললামই তো প্রেম অনেক কমন একটা বিষয় দাঁড়িয়েছে। আর দেখা যায় বেশিরভাগ যুবক-যুবতী সারারাত কানের মধ্যে হেডফোন দিয়ে একজন আরেকজনের সাথে কথা বলে। এতে করে তারা ক্ষণিক সময়ের জন্য মজা তো অবশ্যই পারি কিন্তু তাদের কোন ধারণাই নেই এতে করে তারা তাদের ব্রেনের কতটা ক্ষতি ডেকে আনছে।

অতিরিক্ত পরিমাণেহেডফোন ব্যবহার করা খুবই ক্ষতিকর আমাদের কানের ক্ষতি করে ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করে কারণ কান মস্তিষ্কের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আমি কাপলদের কে বলব প্রেম যদি করতেই হয় হেডফোন ছাড়া করার অভ্যাস করে নিন। তবে সব সময় নয় কারণ এমন অনেক সময় থাকে হেডফোন না নিলে হয় না তখন নিবেন কিন্তু অল্প সময়ের জন্য যাতে করে আপনার কানে্র এমন একটা ক্ষতি না হয়। আশা করি ব্যাপারটা তোমরা বুঝতে পেরেছো।

প্রেম ভালোবাসার কথা বলা হেডফোন ব্যবহার করা বাজে ছবি স্ক্রিনশট রেখে প্রেমিকাদের হুমকি দেওয়া বর্তমান সময়ে খুবই কমন ব্যাপার যার কারণে হাজার হাজার মেয়েরা কাউকে কিছু না জানিয়ে দুনিয়া থেকে চলে যাচ্ছে অর্থাৎ এক কথা বলতে গেলে আত্মহত্যা করছে আমি আমার বোনদেরকে বলবো অবশ্যই অপরিচিত কাউকে দুদিনের পরিচয়ে নিজের ব্যক্তিগত ছবি পাঠাবেন না কারণ আপনার বাবা-মা বাবা আপনাদেরকে অনেক যত্ন করে লালন পালন করেছেন।

আপনার মান সম্মান মানে তাদের মান সম্মান আর আপনি যদি সেটাই অচেনা কাউকে দিয়ে দেন তাহলে যেমন আপনি নিজের ক্ষতি করছেন সাথে সাথে আপনার পরিবারও ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছে তাই অবশ্যই অচেনা কাউকে নিজের পরিচয় বা ছবি পাঠানো থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি মেয়েরা এই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

অনেক কথা বললাম মোবাইল ফোন আমি নিজেও ব্যবহার করি আর অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করি যেটা আমি কমানোর খুবই চেষ্টা করতেছি আশা করি ধীরে ধীরে কমে যাবে আমার মত আপনারাও চেষ্টা করুন ফোনের সৎ ব্যবহার করার যাতে করে আপনার ব্রেন এবং শারীরিক অবস্থা সুস্থ থাকেন ভালো থাকে। এতে করে আপনার মেজাজ ভালো থাকবে আর আপনার ফোনও সুস্থ থাকবে। তাহলে দেখবেন আপনার আগে আপনার ফোন হ্যাং হয়ে গেছে। যাই হোক একটু মজা করলাম আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

সবাই ভাল থাকেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আকাশ সিটির নীতিমালা দেখে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url